দলের হয়ে নয়, তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হয়ে। শোকজের জবাবে জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোকে জানালেন পুরুলিয়া পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর বৈদ্যনাথ মণ্ডল এবং মৌসুমী ঘোষ। তৃণমূল সূত্রের খবর, জবাবি চিঠিতে ওই দুই কাউন্সিলর আরও দাবি করেছেন, ঘটনার দিন উপাচার্যের অনুমতি নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবেকানন্দনগর ক্যাম্পাসে অধ্যাপকদের হুমকি দিয়ে তাঁদের একটি সভা ভন্ডুল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কিছু বহিরাগতের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন শাসক দলের নেতা কর্মীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রধান গৌতম মুখোপাধ্যায় পুলিশের কাছে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন। তার পরই পুরুলিয়া পুরসভার সাত জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের কয়েক জন গৌতমবাবুকে অপসারণের দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকদের একাংশও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন। দলের অন্দরে এবং বাইরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে অপসারণের দাবি জানানো কাউন্সিলরদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে কি না তা নিয়ে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশও। ওই দুই কাউন্সিলরকে শোকজ করার জন্য তৃণমূলের জেলা সভাপতির কাছে নির্দেশ আসে দলের মহাসচিবের।
সম্প্রতি সেই শোকজেরই জবাব দিয়েছেন বৈদ্যনাথ মণ্ডল এবং মৌসুমী ঘোষ। দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য নবেন্দু মাহালি বলেন, ‘‘হুমকি কাণ্ডে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের নাম জড়িয়ে গিয়েছিল। তাই কয়েক জন কাউন্সিলর নাগরিক সমাজের হয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। শোকজের জবাবে তাঁরা এ কথাই জানিয়েছেন।’’ জবাবি চিঠি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে নবেন্দুবাবু জানান। কাউন্সিলর তথা পুরুলিয়া শহর তৃণমূলের সভাপতি বৈদ্যনাথ মণ্ডল অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি এ দিন। তিনি বলেন, ‘‘শোকজের জবাব পাঠিয়ে দিয়েছি। এ নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।’’