প্রতীকী ছবি।
১১ মাসের শিশুকন্যার লালারস পরীক্ষায় এবার করোনা সংক্রমণ মিলল। তবে তার মা, বাবা ও তিন বছরের দাদার রিপোর্টে সংক্রমণ না মেলায় স্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার বিকেলে নাইসেড থেকে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলায় ওই শিশুর রিপোর্ট এসে পৌঁছয়। শিশুটিকে বোলপুরে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের লালারস পরীক্ষায় নেগেটিভ মিললেও শিশুকে দেখভাল করার জন্য মাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেড়শো পেরিয়ে গিয়েছে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুটির বাড়ি নলহাটি থানার হরিদাসপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। তার বাবা মুম্বইয়ে শ্রমিকের কাজ করেন। শিশুটির তিন বছর বয়সী দাদা আছে। ১১ মাসের শিশুকন্যা এবং তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে শিশুটির বাব ও মা ২৫ মে মুম্বই থেকে ফিরেছিলেন। ২৬ মে নলহাটি ১ ব্লকের নিভৃতবাস কেন্দ্রে চার জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ও তাঁদের গ্রামের বাড়িতে কঠোরভাবে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে শিশুটির করোনা পজিটিভ মিললেও বাবা্ মা এবং তিন বছর বয়সী দাদার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শিশুটির পরিবরের সঙ্গে গ্রামের আর কেউ সংস্পর্শে এসেছে কি না তা খোঁজ খবর নিয়ে তাদের তালিকা তৈরি করছে ব্লক প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে যেমন মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তামিলনাডু— এই ৫টি রাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। এখন সে ভাবে বাইরের রাজ্য থেকে আসা সবার লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে না। নিভৃতবাস কেন্দ্রে যাদের করোনা লক্ষণ পাওয়া যাবে কেবলমাত্র তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, নতুন করে ৫৬টি প্রাতিষ্ঠানিক সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্র সোমবার থেকে চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই কেন্দ্রগুলিতে ১ হাজার ৬৫৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হয়েছে। তাঁদের সাত দিন সেখানে রাখা হবে। যদি কারও করোনা লক্ষণ না পাওয়া যায় তাহলে তাঁদেরকে পরবর্তী ৭ দিন কঠোরভাবে গৃহ নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।