বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ধৃত আরও এক

নওপাড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আগেই তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার রাতে সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক জন। ধৃত সাদেক আলি যদিও এ বার বিধানসভা ভোটে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন। পাঁচ দিনের জন্যে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ধৃতকে সোমবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৬ ০২:১৮
Share:

নওপাড়া বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আগেই তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার রাতে সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও এক জন। ধৃত সাদেক আলি যদিও এ বার বিধানসভা ভোটে সিপিএমের পোলিং এজেন্ট হয়ে কাজ করেছেন। পাঁচ দিনের জন্যে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ধৃতকে সোমবার দুবরাজপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিচারক তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।

Advertisement

গত বুধবার গভীর রাতে লোকপুরের নওপাড়ায় ভায়াবহ বিস্ফোরণে উড়ে যায় একটি নবনির্মিত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, পাকা বাড়িটির ঢালাই ছাদ ভেঙে দেওয়াল গুঁড়িয়ে কার্যত মাটিতে মিশে গিয়েছিল কেন্দ্রটি। এলাকা দখলের জন্য তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের প্রস্তুতি চালাতে গিয়েই নবনির্মিত ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল বলে অনুমান এলাকাবাসীর। ঘটনার দু’দিনের মাথায় গ্রামের বাসিন্দা আজমীর শেখ, কালাম শেখ এবং সোলেমান শেখ তিন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার দুবরাজপুর আদালতে তুলে ধৃতদের তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতেও নিয়েছে পুলিশ।

এ বার সিপিএমের এক পোলিং এজেন্ট গ্রেফতার হওয়ায় ঘটনায় অন্য রং লাগল। দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। রবিবার অনুব্রত ঘটনায় তৃণমূল যোগ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পুলিশও গ্রেফতারির বাইরে তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তবে, সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘দোষ এক জনের, সেটা অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে মামলা সাজানোর বিষয় এটা। আমরা চাই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক। তবে, এই রাজ্য পুলিশের উপরে আমাদের আস্থা নেই। একই ব্লকে বারবার ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটছে। অথচ সঠিক তদন্ত হচ্ছে না।’’ ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement