—ফাইল চিত্র।
একটা নয় পাঁচটি ভাষায় সরকারি কর্মীদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কালীপুজোর দিন সেই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের পাদদেশে আন্দোলনরত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের শিক্ষকরা জানালেন, এটা তাঁদের কাছে ঠাট্টার মতো লাগছে। ২৯০ দিন ধরে তাঁরা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারের নীচে বসে। দাবি না-মিটিয়ে এই শুকনো সরকারি শুভেচ্ছা বার্তা তাঁদের কাছে অর্থহীন।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রতি বার কালীপুজোয় শুধু বাংলায় শুভেচ্ছা পেতাম। এ বার পঞ্চব্যঞ্জনের মতো বাংলা, ইংরেজি, ওড়িয়া, সাঁওতালি, হিন্দিতে শুভেচ্ছা বার্তা অভিনব। হোয়াটসঅ্যাপে শুভেচ্ছা এসেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা যেখানে ৪৬ শতাংশ ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা পান, সেখানে আমরা পাই ৬ শতাংশ। এটা তো কোনও উৎসাহ ভাতা নয়। এটা আমাদের বেতনের একটা অংশ। বৈষম্য দূর না করে এই শুভেচ্ছা বার্তা অর্থহীন।’’ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আর এক আন্দোলনকারী রাজীব দত্ত বলেন, ‘‘বাইরের চাকচিক্যতেই মজে আছেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
অনিরুদ্ধ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ২০১০ সালে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বলেন, ডিএ দিতে না-পারলে কারও সরকার থাকার অধিকার নেই। এখন উনি সরকারে কিন্তু কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক ঘুচল না।’’
আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন, ভূত চতুর্দশীর দিন তাঁরা শিক্ষার দুর্নীতির ভূত তাড়াতে ১৪টি প্রদীপ জ্বালিয়ে মঞ্চে বসেছিলেন। অনিরুদ্ধ বলেন, ‘‘হবু যোগ্য শিক্ষকেরা বছরের পর বছর রাস্তায় বসে রয়েছেন। আমরা যারা যোগ্য তারা ডিএ পাচ্ছি না। শিক্ষা ব্যবস্থা ক্রমশই অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। রাজ্য থেকে দুর্নীতির ভূত তাড়ানোর জন্য ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর কর্মসূচি নিয়েছিলাম।’’