মিছিল: এফআরডিআই বিলের প্রতিবাদে শহরের পথে তৃণমূল। শুক্রবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
আমানত বিমা (এফআরডিআই) বিলের প্রতিবাদ জারি রাখল তৃণমূল ও বামেরা। প্রতিবাদে নেমে বামেরা অবশ্য নিশানা করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক নীতিকে। আর তৃণমূল সরাসরি আক্রমণ করছে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে।
প্রস্তাবিত বিলের বিরোধিতায় শুক্রবার যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে গড়িয়াহাট, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ হয়ে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিল করে যুব তৃণমূল। মিছিল শেষে দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘সুদীপ্ত সেন আর বিজেপি নেতাদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই! যাঁরা চিটফান্ডে টাকা রেখেছিলেন, সুদীপ্ত সেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা নিয়েছিলেন। আর ব্যাঙ্কে যারা টাকা রাখছেন, নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা তাঁদের টাকা তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।’’ সারদা-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে সুদীপ্তকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রসঙ্গ টেনেই অভিষেকের প্রশ্ন, ‘‘সুদীপ্ত সেন যদি গ্রেফতার হন, তা হলে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভার লোকেদের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ হবে না?’’
সাধারণ মানুষের আমানতের সুরক্ষার প্রশ্ন তুলে কর্মসূচি হলেও তৃণমূলের যুব সভাপতি নিজেই টেনে এনেছেন দুর্নীতির প্রসঙ্গ। সারদা, নারদ-সহ একের পর এক দুর্নীতির ঘটনায় তৃণমূলের নেতাদের নাম জড়িয়েছে। সিবিআইয়ের হাতে তার তদন্তও চলছে। অভিষেকের তির্যক মন্তব্য, ‘‘সিবিআই, ইডি, আইটি দিয়ে ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দমিয়ে রাখা যাবে না। আমরা যতক্ষণ বেঁচে আছি, এই বিল পাশ হতে দেব না। সিবিআই আমাদের কাঁচকলা করেছে! কাঁচকলা করবে!’’
বামেরা তাদের ব্যাঙ্ককর্মী ও আরও নানা সংগঠনকে দিয়ে ধারাবাহিক ভাবে ওই বিলের প্রতিবাদ করে চলেছে। আয়োজন হচ্ছে মিছিলের। মোট ১১৭টি গণসংগঠনের যৌথ মঞ্চ বিপিএমও ওই বিলের প্রতিবাদে সই সংগ্রহে নেমেছে। তাদের ডাকে কলকাতায় রাজ্য কনভেনশন হবে ২৭ ডিসেম্বর। সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এ দিনই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আ়ঞ্চলিক দফতরের সামনে ধর্না-বিক্ষোভ করেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, ডালহৌসি এলাকায় এ দিন থেকে শুরু হওয়া সই সংগ্রহ কর্মসূচি গোটা জানুয়ারি জুড়ে চলবে। তার পরে সেই গণস্বাক্ষর তাঁরা পাঠিয়ে দেবেন লোকসভার স্পিকারের কাছে।