আঁখি দাস
একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে অশান্তি শুরু হয়েছিল বসিরহাটে। সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যের অন্যত্রও একই কৌশলে ছড়ানো হয়েছে উত্তেজনা। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি দাস সাফ জানালেন, তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টাকে মোটেই সমর্থন করেন না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কোনও ‘পোস্ট’ সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হয় দ্রুত।
আনন্দবাজারকে আঁখি জানিয়েছেন, ফেসবুকে মানুষকে নিরাপদ রাখাটাই তাঁদের অগ্রাধিকার। মানুষের সুরক্ষার জন্যই ফেসবুক পোস্টের ক্ষেত্রে কিছু মাপকাঠি (কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড) বেঁধে দেওয়া আছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই মাপকাঠি মেনেই ঘৃণা বা হিংসা-ছড়ানো পোস্ট রুখতে আমাদের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’’
বাঙালি কর্ত্রীর কথায়, ‘‘যদি ফেসবুকে কাউকে শারীরিক আক্রমণের হুমকি দেওয়া হয় এবং যদি সেটির বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে, তা হলে সেই ধরনের পোস্ট সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ-ও দেখা হয়, সংশ্লিষ্ট মানুষটি জনসমক্ষে কতটা আসেন কিংবা তিনি যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে নিরাপদ কি না।’’ আঁখি আরও জানান, ফেসবুক ‘নোটিস অ্যান্ড টেকডাউন’ পদ্ধতিতে কাজ করে। কোনও পোস্ট কারও আপত্তিকর মনে হলে তাঁকে শুধু ফেসবুকের কাছে একটা অভিযোগ নথিবদ্ধ করতে হবে। কাজ হবে তাতেই।
আরও পড়ুন: ছন্দে ফিরলেও নগদের আকাল
গত কালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘ফেসবুককে শ্রদ্ধা করি। ‘ফেকবুক’কে নয়।’’ সূত্র বলছে, সম্প্রতি দিল্লিতে মমতার সঙ্গে দেখা করেছেন আঁখি। তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া যিনি দেখেন, সেই ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে তাঁর। ফেসবুক জানাচ্ছে, কোনও পোস্ট স্থানীয় আইন ভঙ্গ করছে বলে মনে হলে সরকারও তাদের দ্বারস্থ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তের পরে সংশ্লিষ্ট পোস্টটিকে ওই ভৌগোলিক অঞ্চল থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, কেন সেটি সরানো হল।