বিধান ভবনে বৈঠকের ফাঁকে এআইসিসি'র পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ এবং অন্য নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
একাধারে যৌথ আন্দোলন এবং আসন-ভাগের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বামেদের সঙ্গে যৌথ সমন্বয় কমিটি গড়ার প্রস্তাব ফের উঠল কংগ্রেসের অন্দরে। বাংলায় এআইসিসি-স পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদের সঙ্গে কংগ্রেসের জেলা সভাপতিদের বৈঠকে শুক্রবার রাজ্য ও জেলা স্তরে এমন কমিটি গড়ার প্রস্তাব এসেছে। প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বিষয়টি কার্যকর করার ভার প্রদেশ নেতৃত্বের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন জিতিন। কালীঘাট মন্দির ঘুরে এ দিন সন্ধ্যায় কলকাতা ছেড়েছেন তিনি।
প্রদেশ নেতাদের সঙ্গে আগের দিন বৈঠক করার পরে এ দিন বিধান ভবনে দলের জেলা সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক। ছাত্র, যুব, মহিলা কংগ্রেস এবং দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সঙ্গেও আলোচনা ছিল তাঁর। কংগ্রেস সূত্রের খবর, জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে সমন্বয় কমিটির প্রস্তাব এসেছিল। জেলা নেতাদের একাংশের মত, বামেদের সঙ্গেই এখন নিয়মিত যৌথ কর্মসূচি চলছে। এর পরে তাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কথাও শুরু হবে। এই গোটা প্রক্রিয়া মসৃণ হতে পারে রাজ্য ও জেলা স্তরে দু’পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গড়া হলে। সোমেন মিত্র প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন এক বার এমন প্রস্তাব নিয়ে চর্চা হয়েছিল। এ বার জিতিন এমন প্রস্তাবে সায় দেওয়ার পরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কথা বলতে পারেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের নানা ‘জনবিরোধী’ নীতি এবং রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কর্মসংস্থানের অভাবের মতো প্রশ্নকে হাতিয়ার করে ছাত্র, যুবের মতো সংগঠনকে আরও বেশি করে পথে নামার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে বাধা পেলে তা-ও তাদের প্রচারের রসদ হবে। পরে জিতিন বলেছেন, ‘‘জেলা ও শাখা সংগঠনগুলির নেতৃত্বের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।’’