পরীক্ষার নিয়মবিধির কোনও উল্লেখ নেই। অথচ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার! অর্থাৎ কোনও প্রার্থীই জানতেই পারলেন না তিনি আদৌ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগের জন্য যোগ্য কিনা। অথচ চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি দেখে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে।
মঙ্গলবার কমিশনের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত অনার্স গ্র্যাজুয়েট বা এম এ পাশ করা প্রার্থীদের ১৫ হাজার ৯৪৭ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। শারীর ও কর্ম শিক্ষায় নিয়োগ করা হবে যথাক্রমে ১০১৯ এবং ১২৩৭ জনকে। কিন্তু এনসিটিই বি এড বাধ্যতামূলক করার পরে নিয়ম বিধিতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তার কোনও উল্লেখ নেই ওই বিজ্ঞপ্তিতে। পাশাপাশি ২০১৫ সালের মার্চে বি এড এর জন্যে তিন নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছিল। বি এড বাধ্যতামূলক করার পরে আদৌ সেই নিয়মের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা জানা নেই কোনও প্রার্থীরই। কমিশনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে কমিশনের তরফে জানানো হয়, ১৬ ফেব্রুয়ারি বিস্তারিত ভাবে সমস্ত কিছু জানানো হবে।
বিধির কথা উল্লেখ না করার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই মত বিরোধীদের। সিপিআই-এর শিক্ষক নেতা স্বপন মন্ডল বলেন, ‘‘যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে তাতে আদৌ সরকারের কোনও আবেগ রয়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না।’’ কারণ হিসেবে তাঁর যুক্তি, নিয়ম বিধির উল্লেখ না করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ তো পরীক্ষা না নেওয়ারই সামিল। নির্বাচনের আগে চমক দেওয়ার জন্যেই এই পদক্ষেপ বলে মত বিরোধীদের।
যদিও এই মতকে আমল দিতে নারাজ কমিশন। কমিশনের এক কর্তা জানান, ১৬ ফেব্রুয়ারি সমস্ত কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে। তার আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে তা কোনও নিয়ম নীতি ভাঙা হয়নি। তাহলে এত বিতর্ক কীসের?
বিরোধীদের মন্তব্য, ‘‘নিয়োগ আদৌ হবে কিনা তার ঠিক নেই। নির্বাচনের আগে চমক দেখাতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করে দিল কমিশন।’’