পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হাওয়ার ফলে শুক্রবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পড়ুয়াদের এখন থেকে ফি ও অন্যান্য চার্জ-সহ পুরো বেতনই দিতে হবে। এর সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বকেয়া স্কুল ফি-র পঞ্চাশ শতাংশ স্কুলগুলিকে দিতে হবে।
ফাইল চিত্র।
রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ক্রমশ কমছে। প্রায় দু’বছর পর পড়ুয়ারা আবার ব্যাগ কাঁধে স্কুলমুখী হয়েছে। এই অবস্থায় ১ মার্চ থেকে বেসরকারি স্কুলগুলি ফের পুরো বেতন নিতে পারবে পড়ুয়াদের থেকে। এই নিয়ে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্কুলগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
কোভিডের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণ আনতে রাজ্য সরকার লকডাউন ঘোষণা করে। সেই সময় বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বেসরকারি স্কুলগুলি ফি নিতে থাকে। এর বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন অভিভাবকরা। ২০২০ সালে ওই মামলার প্রেক্ষিতে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল বেসরকারি স্কুলগুলির পড়ুয়ারা ৮০ শতাংশ বেতন দেবে। একই সঙ্গে আদালত বলে, বেসরকারি বেতন নিয়ে যত বিতর্ক থাকুক, কোনও পড়ুয়াকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। এই সঙ্গে প্রতিটি পডুয়াকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে।
পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হাওয়ার ফলে শুক্রবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে পড়ুয়াদের এখন থেকে ফি ও অন্যান্য চার্জ-সহ পুরো বেতনই দিতে হবে। এর সঙ্গে আদালত জানিয়েছে, বকেয়া ফি-র ৫০ শতাংশ অভিভাবকদের স্কুলগুলিকে দিতে হবে। আগামী ২৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
তবে আদালত আরও জানিয়েছে, যেহেতু ২৫ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি তাই ওই সময় পর্যন্ত স্কুলগুলি অভিভাবকদের কাছ থেকে তাদের বকেয়া ফি আদায় করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে না। স্কুল থেকে বহিষ্কার, অ্যাডমিট কার্ড বা পরীক্ষা আটকানো যাবে না। এ ছাড়াও শ্রেণিতে প্রমোশন বা কোনও রেজাল্ট বন্ধ করতে পারবে না কোনও স্কুল।