তাঁর কলেজে শিক্ষক নিগ্রহরে ঘটনায় দায়ী যে টিএমসিপি-র সমর্থকেরা, শুক্রবার তা মেনে নিয়েছিলেন মাজদিয়ার সুধীরঞ্জন লাহিড়ী কলেজের অধ্যক্ষ সরোজেন্দ্রনাথ কর।
কিন্তু দিন পেরোতেই, শনিবার সকালে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন—‘‘আসলে ওই ছাত্রটি শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। শিক্ষকেরাও তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। তাই ছাত্রের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর থানা-পুলিশ করলাম না।’’ রাতারাতি এমন বিপরীত মুখে হাঁটলেন কেন তিনি?
শিক্ষকদের একাংশের দাবি— ‘‘হিসেবটা খুব সহজ। সরোজেন্দ্রবাবু বরাবরই শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের চাপেই তিনি এখন পিছপা হচ্ছেন।’’
প্রশ্ন উঠছে, বছর চারেক আগের একটি ঘটনা নিয়ে। ‘নিগৃহীত’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করে সে বার তিনি সটান পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের তির ছিল কলেজেরই পাঁচ এসএফআই সমর্থকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে সে বার পুলিশও সক্রিয় হয়ে গ্রেফতার করেছিল তাদের। পাক্কা ৪১ দিন জেলও খাটতে হয়েছিল ওই ছাত্রদের। কলেজের শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, তখন কি ওই ছাত্রদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় আসেনি অধ্যক্ষের?
শুক্রবার, টিএমসিপি-র হাতে আক্রান্ত শিক্ষক সুব্রত রায় স্পষ্ট জানাচ্ছেন, ওই ছাত্রকে ক্ষমা তিনি করেননি। তিনি এ দিন বলছেন, ‘‘ওই ছাত্রকে ক্ষমা করার প্রশ্ন নেই।
জানি না অধ্যক্ষ কী করে এ কথা বলছেন।’’ কলেজের টিচার্স কাউন্সিলের সম্পাদক ভবেশ মজুমদারও বলেন, ‘‘ঘটনার পর আমরা ওই ছাত্রের শাস্তির দাবি করেছিলাম। সেই মর্মে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগও জানানো হয়েছিল। আমাদের অভিযোগ থেকে সরে আসার কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। তা হলে কী করে অধ্যক্ষ তাকে (ছাত্রটিকে) ক্ষমা করে দিলেন!’’