ফাইল চিত্র।
প্রদেশ সভাপতি নির্বাচনের ভার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সহ-সভাপতির উপরেই ছেড়ে দিল রাজ্যের কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার প্রস্তাব পাশ করে ওই দায়িত্ব এআইসিসি-র শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়া হল। সেই সঙ্গেই প্রস্তাব নেওয়া হল রাহুল গাঁধীকে কংগ্রেস সভাপতি করার দাবি জানিয়ে। দু’টি প্রস্তাবই আনুষ্ঠানিক ভাবে পাঠ করেছেন বর্তমান প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সাধারণত প্রদেশ স্তরের সাংগঠনিক নির্বাচনের আগে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির (পিসিসি) সদস্যদের নাম অনুমোদন করে পাঠায় এআইসিসি। কিন্তু এ বার সেই তালিকা দিল্লি থেকে এখনও এসে পৌঁছয়নি বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। বিধান ভবনের বেছে দেওয়া প্রতিনিধিদের নিয়েই মঙ্গলবার উত্তম মঞ্চে হয়েছে সাংগঠনিক নির্বাচন। উপস্থিত ছিলেন এআইসিসি-র তরফে প্রদেশ রিটার্নিং অফিসার (পিআরও) যোগানন্দ শাস্ত্রী। রাজ্য কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃত্বের মধ্যে সোমেন মিত্র ও দীপা দাশমুন্সি ছিলেন না অন্য রাজ্যের পিআরও-র দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ায়। সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সিদ্ধান্তই অবশ্য হয়নি। প্রদেশ সভাপতি বাছাইয়ের মূল কাজই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর হাতে।
দিল্লির হাতে নেতৃত্ব বাছার ভার ছেড়েও অধীরবাবু অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতার পথ থেকে তাঁরা সরছেন না। তিনি এ দিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। বিরোধ রাজনৈতিক। সেই বিরোধ থাকবে।’’ তবে দলের একাংশই প্রশ্ন তুলছেন নির্বাচনের মঞ্চে বিপুল সংখ্যায় ‘বাউন্সারে’র উপস্থিতি নিয়ে! তাঁদের প্রশ্ন, গোলমালের ভয়েই কি প্রদেশ নেতৃত্ব এমন আয়োজন করলেন? অধীরবাবুর অবশ্য ব্যাখ্যা, দলের স্বেচ্ছাসেবক ও বাইরের ক্যাটারিং সংস্থার কর্মীরাই শুধু ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কালো জামা পরলেই কি কেউ বাউন্সার হয়ে যায়?’’