এই বাসেই প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য সরকারের অভিযোগের আঙুল সরাসরি তাদের দিকেই। এই পরিস্থিতে অনেকটা রক্ষণাত্মক ভাবেই সামনে এলেন ডাক বিভাগের কর্তারা। সরাসরি অস্বীকার না করলেও, নিজেদের উপর থেকে গাফিলতির দায় এড়াতে ইতিমধ্যে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি, ঘটনার জন্য কার্যত আঙুল তুললেন ভাঙাচোরা রাস্তার দিকেই। শুক্রবার বালি নিশ্চিন্দা থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে ডাক বিভাগ।
রাজ্যের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (সিপিএমজি) অরুন্ধতী ঘোষ এ দিন বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে যা জানা গিয়েছে, তাতে যে রাস্তায় বাস গিয়েছিল সেই রাস্তায় প্রচুর বাম্পার ও গর্ত ছিল। সেই বাম্পারেই সম্ভবত বাসের ফাইবারের সিট খুলে য়ায়। তবে বাসটি প্রথমে ভাল অবস্থায় ছিল। ভাঙাচোরা ছিল না।’’ বাসে দু’জন সশস্ত্র পুলিশ ও দু’জন ডাক বিভাগের কর্মী ছিলেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরাও কিছু বুঝতে পারেননি। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অন্তত পাঁচ-ছ’বার পুরো রাস্তায় খোঁজ করা হয়েছে। টোল প্লাজার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কোনও হদিস মেলেনি।
এ দিনই ভাঙাচোরা বাসে প্রশ্নপত্র নিয়ে যাওয়া নিয়ে ডাক বিভাগকে দুষেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
টেট: ডাউনলোডের সুযোগ বাড়ল আরও এক সপ্তাহ