—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মুর্শিদাবাদের ফরাক্কায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগের মামলা এ বার পৌঁছল কলকাতা হাই কোর্টে। বিচারবিভাগীর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্তের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হল পরিবার।
নিহত নাবালিকার পরিবারের তরফে সোমবার আইনজীবী শামিম আহমেদ এই আবেদন জানিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে। আবেদনের প্রেক্ষিতে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, এই মুহূর্তে আদালতে অবকাশকালীন বেঞ্চ চলছে। তাই বিচারবিভাগীর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সংক্রান্ত নির্দেশ দিতে গেলে বা শুনানি করতে গেলে অনেকটা সময় (পরবর্তী অবকাশকালীন বেঞ্চ চার দিন পরে) চলে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে শুনানি না করে দুই বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্যের আইনজীবীকে বলেছে, ময়নাতদন্তের সময় এক জন বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির জন্য তিনি যেন সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন জানান। প্রসঙ্গত, প্রতিমা বিসর্জন দেখতে মায়ের সঙ্গে ফরাক্কার রেল কলোনিতে দাদুর বাড়ি এসেছিল বছর ১২-এর এক শিশুকন্যা। সঙ্গে ছিল তার ভাইও। রবিবার সকালে সেই নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ মেলে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে।
দেহ উদ্ধারের পরেই সেই প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরাক্কা পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সোমবার নিহত নাবালিকার পরিবারের ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে নতুন করে পকসো যুক্ত করে পুলিশ। নিহতের মায়ের অভিযোগ, তাঁদের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।