Bagtui

নিশানায় সিবিআই, লালন-মৃত্যুতে শুরু ‘লাভ’ বিতর্ক

শুভেন্দু অধিকারী যে হামেশাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সম্প্রতি ১২ ডিসেম্বর তারিখ উল্লেখ করে মন্তব্য করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে খোঁচা দিতেও ছাড়ছে না তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:২৫
Share:

বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত লালন শেখ। ফাইল চিত্র।

বগটুই-কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে শাসক ও বিরোধী সব পক্ষই। লালন শেখের মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবির পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যে হামেশাই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং সম্প্রতি ১২ ডিসেম্বর তারিখ উল্লেখ করে মন্তব্য করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে খোঁচা দিতেও ছাড়ছে না তৃণমূল কংগ্রেস।

Advertisement

রামপুরহাটের সিবিআই ক্যাম্প অফিসে বগটুই-কাণ্ডের অভিযুক্ত লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে সোমবার। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ‘‘সিবিআইয়ে অনেক যোগ্য অফিসার আছেন। কিন্তু সংস্থাটিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই আমাদের সন্দেহ। লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপযুক্ত ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী ১২ তারিখের যে সমসয়সীমা দিয়েছিলেন, সেটা কি এই ঘটনার জন্যই?’’ তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সুখেন্দু শেখর রায়ও বলেছেন, ‘‘১২ ডিসেম্বর বড় ঘটনা ঘটবে বলে যাত্রাদলের অধিকারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল! তা কি রামপুরহাটের সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু?’’

রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আবার পাল্টা বলেছেন, ‘‘লালন শেখের মৃত্যুতে কারা লাভবান হবেন, তা সহজেই অনুমেয়! সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আমরা জানতে পারছিলাম লালন তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন। এমন ঘটনাবহুল সময়ে তাঁর মৃত্যু রহস্যজনক। কেন হল, কী ভাবে হল, কে দায়ী একমাত্র আদালত এবং সিবিআই বলতে পারবে।’’

Advertisement

অন্য দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস এই মৃত্যুর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, ‘‘গ্রেফতার হওয়ার পরে সিবিআই হেফাজতে যে ছিল, তার এমন মৃত্যুতে দুর্ঘটনা, ষড়যন্ত্র নানা প্রশ্ন উঠবেই। পরিবার অভিযোগ করছে খুন, সিবিআই বলছে আত্মহত্যা। এই অবস্থায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সিবিআইকেই তো কৈফিয়ত দিতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। অভিযুক্ত হোক বা অপরাধী, হেফাজতে মৃত্যু কখনও চলতে পারে না।’’ সুজনবাবুর আরও মন্তব্য, ‘‘দেখতে হবে, এতে কাদের লাভ হল। তাঁর মৃত্যুতে কী ধাপাচাপা দেওয়া গেল, ধামাচাপা দিলে কী লাভ হল?’’ প্রায় একই সুরে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকারের বক্তব্য, ‘‘ওই অভিযুক্তের বাড়িতে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেল আর তিনি ‘আত্মহত্যা’ করলেন! বর্তমান কোনও বিচারপতিকে দিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত প্রয়োজন। এটাও কি বিজেপি-তৃণমূল সমঝোতার আর একটা ফল? এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর ভাইপো মেঘালয়ে গিয়েছেন কংগ্রেসের ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে। অন্য দিকে এখানে তৃণমূলের অস্বস্তি কমানোর একটা চেষ্টা হল? সিবিআইকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement