অবৈধ কারবারি ‘পু’-এর পরে এ বার ‘ফু’-কে খুঁজছে পুলিশ

‘পু’ ধরা পড়লেও ‘ফু’-এর হদিশ নেই! তাই ফু-এর গতিবিধি, কাজকারবার সম্পর্কে জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ির একদল পুলিশ ও গোয়েন্দা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, চিনের নাগরিক ফু কোনও অবৈধ ব্যবসার সুবাদেই পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া শিলিগুড়িতে যাতায়াত করে।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০২:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

‘পু’ ধরা পড়লেও ‘ফু’-এর হদিশ নেই! তাই ফু-এর গতিবিধি, কাজকারবার সম্পর্কে জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন শিলিগুড়ির একদল পুলিশ ও গোয়েন্দা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, চিনের নাগরিক ফু কোনও অবৈধ ব্যবসার সুবাদেই পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া শিলিগুড়িতে যাতায়াত করে। ইতিমধ্যে পু জামিনে মুক্তি পেলেও ফের জেরা করতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

Advertisement

পু ওয়াং চিনের নাগরিক। গত ১৬ জুন শিলিগুড়ির সেবক রোডের একটি হোটেল থেকে পু-কে শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) গ্রেফতার করে। পাসপোর্ট-ভিসা থাকলেও পু-এর কাছে তাঁর নামেই একটি আধার কার্ড মেলে। জাল আধার কার্ড রাখার মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার মাধ্যমে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে শিলিগুড়ি পরিবহণ ব্যবসায়ী বাপ্পাই আগরওয়াল, নেপালের নাগরিক গণেশ ভট্টরাই, রাজ বাঁশকোটে, প্রকাশ ঘিমিরে ও গৌরীশঙ্কর সাউকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরার সময়েই ফু সাও ওয়াংয়ের নাম জানা যায়। তখনই জানা যায়, চিনা নাগরিক ফু পাসপোর্ট-ভিসা নিয়ে নেপালে ঢুকে সেখানে বসে শিলিগুড়িতে কোনও কারবার ফেঁদে বসার চেষ্টা করছেন। ফু শিলিগুড়িতে মেডিক্যাল মোড়ের কাছে একটি হোটেলে গিয়ে পু-এর সঙ্গে দেখাও করেন বলে গোয়েন্দারা জেনেছেন। পরে সেবক রোডে গণেশের ফ্ল্যাটে ফু রাত কাটান। সেখানে কয়েক জনের সঙ্গে বৈঠকও হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ধৃতরা দাবি করেছে ফু ঠিক কীসের কারবার করতে চাইছেন, সেটা তাঁরা স্পষ্ট বোঝেননি। তবে তদন্তকারীদের কয়েক জনের সন্দেহ, যৌন উদ্দীপক ওষুধ তৈরির উপকরণ চোরাপথে নিতেই চিনের যে চক্র উত্তর-পূর্ব ভারতে সক্রিয়, তাদের সঙ্গে যোগসাজশ থাকতে পারে ফু-এর।

Advertisement

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও গোয়েন্দারা জেনেছেন, চিনা নাগরিক হলেও এ দেশের পাহাড়িদের মতোই চোখমুখ, গড়ন মধ্যবয়সী ফু-এর। উচ্চ ৫ ফুটের মতো। দাড়িগোঁফ নেই। শিলিগুড়ির এক পুলিশ কর্তা জানান, গত ২ জুলাই জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে জেলা জজ পু-কে শর্তাধীন জামিন দেন। ওই মামলায় ধৃত বাকিরাও পরে জামিন পান। তদন্তকারী সংস্থা এসবি-র পক্ষ থেকে জামিনে মুক্তদের নিয়মিত যোগাযোগ রেখে তদন্তে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ ও আদালত সূত্রের খবর, পু সে দেশের এক জন বিনিয়োগকারী বলে পুলিশকে জানিয়েছে কলকাতার চিনা দূতাবাস। কিন্তু, ফু-এর ব্যাপারে কোনও স্পষ্ট তথ্যই এখনও হাতে আসেনি বলে নেপাল সীমান্তে বাড়তি নজর রাখছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও সাহায্য চাওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement