নীরব দর্শকের ভূমিকায় রক্ষকরা।—নিজস্ব চিত্র
সকালে বিধাননগরে বড় ঘটনাটি ঘটে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের এসি ব্লক কমিউনিটি হলের দু’টি বুথে। অভিযোগ, ভোট শুরু হওয়ার পরেই ওই দুটি বুথের দখল নিয়ে নেন শাসকদলের বহিরাগতরা। প্রথমে ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের মারধর এবং পরে বুথের ভিতরে ঢুকে সিপিএম এজেন্টেকে মারধর করে বের করে দেয় ওই বহিরাগতরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ থাকলেও তাঁরা ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। পুলিশের সামনেই ওই বহিরাগতরা তাণ্ডব চালাতে থাকে। ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। মারধর করে বের করে দেওয়া হয় ভোটারদের। অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পুলিশের সামনেই এক বৃদ্ধ ভোটারকে মাটিতে ফেলে পেটায় বহিরাগতরা। বহিরাগতদের হাত থেকে বাদ যাননি মহিলারাও। বহিরাগতদের তাণ্ডবের মধ্যেই রুখে দাঁড়ান এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। পুলিশের সামনে দু’জন বহিরাগতকে আটক করেন এলাকার বাসিন্দারা। আটক যুবকদের তুলে দেন পুলিশের হাতে। অভিযোগ, পুলিশ তাদের নিয়ে গেলেও কিছুক্ষণ পরেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রাথী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিপক্ষে রয়েছেন বিধাননগরের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা অনুপম দত্ত।
প্রার্থী না প্রতীক, কাকে বাছলেন তাপস ঘরণী গোপা?
অচেনা যুবক দেখিয়ে দিল কোথায় ভোট দিতে হবে
এ কেমন ভোট! এরা কারা সল্টলেকে?
সাংবাদিকদের বেধড়ক পেটাল তৃণমূলের গুন্ডারা
বহিরাগত তাণ্ডব, অবাধে ভোট লুঠল শাসক দল
বিরোধীদের অভিযোগ, ওই কমিউনিটি হলটি কেষ্টপুর খালের কাছে। খালের পাশেই রয়েছে এবিএসি পার্ক। তার পাশেই রয়েছে তৃণমূলের একটি দলীয় অফিস। ওই অফিসের কাছে ডেরা বেধেছেন কয়েকশো তৃণমূল সর্মথক বহিরাগতরা। এলাকাবাসীর প্রতিরোধের পরে ওই দলীয় অফিসে আশ্রয় নেন ওই বহিরাগতরা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ চলে যাওয়ার পরেই ওই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ফিরে আসেন বহিরাগতরা। সঙ্গে আসেন তৃণমূল প্রাথী অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। অনিন্দ্য সামনে পেয়েই তাঁকে ঘিরে ধরেন এলাকার বসিন্দারা। তাঁরা অনিন্দ্যকে জানান, তাঁরা এলাকার লোক। এতদিন ধরে ভোট হচ্ছে কোনদিনও এইরকম অবস্থার সামনে পড়তে হয়নি তাঁদের বলে ওই বাসিন্দা নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল প্রার্থীর সামনে।
পুলিশ জানিয়েছে, বহিরাগতরা ওই বুথে ঢুকেছে খবর পেয়েই ক্লাষ্টার মোবাইলকে সেখানে পাঠানো হয়। পরে লাঠিচার্জ করে ওই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কয়েকজনকে ওই এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।