Mamata Banerjee on RSS Office

পুকুর ভরাট করে তিন তলা অফিস? মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই আরএসএস দফতরে প্রশাসন, চাওয়া হল নথি

বেআইনি ভাবে জমি দখল, পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, তিনি শুনেছেন, আসানসোলের আরএসএস দফতর পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৪ ২২:০০
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

বেআইনি ভাবে জমি দখল, পুকুর ভরাট করে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, তিনি শুনেছেন, আসানসোলের আরএসএস দফতর পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই আরএসএসের ওই দফতরে পৌঁছে গেল প্রশাসন। পুলিশ, আসানসোল পুরসভা ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকদের একটি দল সেখানে গিয়ে জমির নথিপত্র দেখতে চান।

Advertisement

আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাউথ ধাদকার জেসি বোস লেনে আরএসএস ভবনটি রয়েছে। ওই তিন তলা ভবনটি পুকুর ভরাট করে তৈরি হয়েছে বলে মমতা অভিযোগ করার পরেই সরকারি আধিকারিকদের সেখানে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে আসেন আরএসএস কর্মীরা। আরএসএস সূত্রে খবর, তাঁদের কাছে জমিবাড়ির কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। তারাও জানিয়েছে, যদি নোটিস দেওয়া হয়, তা হলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই সব নথি প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। আরএসএসের আইনজীবী পীযূষকান্তি গোস্বামী বলেন, ‘‘কেউ অভিযোগ করেছেন। তাই জন্য এসেছিলেন ওঁরা। কিন্তু কী অভিযোগ, তা আমরা জানি না। আমাদের জানানো হয়নি। কাগজপত্র চেয়েছেন ওঁরা। আমরা জানিয়েছি, আমাদের কাছে সব কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু এখানে নেই। কেশব ভবনে রয়েছে। জোগাড় করার জন্য দিন পনেরো সময় দিতে হবে। ওঁরা রাজি হলেন। নোটিসও করবেন বলেছেন।’’

আরএসএস ভবনে যে সরকারি আধিকারিকেরা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার সুব্রত দেবনাথও। বেরোনোর সময় তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি একটি অভিযোগ এসেছে। তার ভিত্তিতে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। ওঁরা দেবেন বলেছেন।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করেন, ‘‘মলয় (মন্ত্রী মলয় ঘটক) আমাকে বলছিল যে, আসানসোলে একটা পুকুর বুজিয়ে কোনও একটা রাজনৈতিক দল একটা তিন তলা বাড়ি বানিয়েছে। কিন্তু সেটা ভাঙা হচ্ছে না কেন? পুলিশকে নাকি বার বার বলা হয়েছিল, পুলিশ অ্যাকশন নেয়নি। কারণ, শুনেছি ওই বাড়িটা আরএসএসের কার্যালয়। তৃণমূলের কোনও বেআইনি নির্মাণ যদি ভাঙা হয়, তা হলে আরএসএসের কার্যালয় কেন ভাঙা হবে না?” এর পর মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, ‘‘আগে দেখতে হবে ওই জমির রেকর্ড কী আছে। যদি ওটা জলাশয় জমি হয় মানে ল্যান্ড রেকর্ডে যদি তা-ই থাকে, তা হলে সেই জলাশয় বুজিয়ে কার্যালয় তৈরি তো অপরাধ। সেই মতো ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু আগে ভাল করে রেকর্ড দেখে নিতে হবে। কারও মুখের কথায় কিছু হবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement