সিঙ্গুরে পুলিশের টহলদারি। — নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তির ঘটনা ঘটছে। এই আবহে ভিন্ন ছবি দেখা গেল হুগলিতে। সোমবার হুগলি গ্রামীণ পুলিশের বাহিনী টহল দেয় সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায়। গ্রামবাসীদের দেওয়া হয় পুলিশ আধিকারিকদের ফোন নম্বরও। সোমবারও ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা। মুর্শিদাবাদের একাধিক ব্লক অফিস মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে।
সোমবার সিঙ্গুরের ঘনশ্যামপুর, আজবনগর, তেলিপুকুর-সহ একাধিক গ্ৰামে টহল দেয় পুলিশ। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকেরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও রকম ভীতির আবহ না তৈরি হয় সেই বার্তা দেন পুলিশ আধিকারিকেরা। কোনও প্রয়োজনে যাতে সরাসরি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন গ্রামবাসীরা সে জন্য তাঁদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার পালা। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় মুর্শিদাবাদের বেশিরভাগ মনোনয়ন জমা দেওয়ার কেন্দ্র। বিডিও অফিস চত্বরে ওড়ানো হয় ড্রোন। সেখান থেকে পাওয়া ভিডিয়ো দেখে নিরাপত্তার তত্ত্বাবধান করেন বিডিও। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিশেষ নির্দেশিকা এসে পৌঁছায়। তাতে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কেন্দ্রের এক কিলোমিটারের মধ্যে জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। সকাল ১১টা থেকে বেলা ৩টে পর্যন্ত জারি থাকবে এই ব্যবস্থা। মনোনয়ন দিতে যাওয়ার সময় প্রার্থীর সঙ্গে যেতে পারবেন তাঁর এক সঙ্গী। শমসেরগঞ্জ ব্লক অফিসে বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। আশপাশের সরু গলি এবং বাড়ির ছাদে জমায়েত আটকাতে ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হয় নজরদারি।