বিমল গুরুঙ্গের বাড়ির কাছে বিস্ফোরক তৈরির কারখানা

দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, ‘‘ বিস্ফোরক তৈরির এই কারখানাটি চালাত উত্তর পূর্ব ভারত থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা কয়েকজন।’’

Advertisement

প্রতিভা গিরি ও অনির্বাণ রায়

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৭
Share:

ফাইল চিত্র।

পুলিশের তৎপরতায় ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে মোর্চার কট্টরপন্থীরা। ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে তাদের নানা কর্মকাণ্ড।

Advertisement

শুক্রবার সকালে বিমল গুরুঙ্গের বাড়ির অদূরে বিস্ফোরক তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করে গুরুঙ্গ-ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা হেমন্ত গৌতমকে। দার্জিলিঙের চকবাজারে এ দিন মোর্চার সভা থেকে পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায়।

গুরুঙ্গের পাতলেবাসের বাড়ির থেকে দু’কিলোমিটারের মধ্যে সিংলা এবং বার্নেসডেকের দু’টি বাড়ি থেকে এ দিন ডিটোনেটর, তার, রাসায়নিক-সহ বিস্ফোরণ তৈরির একাধিক সামগ্রী উদ্ধার হয়। কিছু দেশি বন্দুকও মিলেছে। সেগুলি দার্জিলিঙেই তৈরি বলে দাবি পুলিশের। পুলিশের দাবি, গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রকাশ সুব্বা, দীপেন মালে, বিশাল বোমজানরা এই কারখানা চালাতেন।

Advertisement

দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, ‘‘ বিস্ফোরক তৈরির এই কারখানাটি চালাত উত্তর পূর্ব ভারত থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা কয়েকজন।’’

আরও পড়ুন:মেয়রের সঙ্গেই রক্ষীদের জেরা সিবিআইয়ের

গুরুঙ্গকে মোবাইলের সিম সরবরাহের অভিযোগে এ দিনই মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সপ্তাহখানেক আগে গুরুঙ্গের ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে সিকিমে যাওয়ার সময় তাঁকে পুলিশ আটক করেছিল। এ দিন হেমন্তকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ শিলিগুড়ির মিলন মোড়ে তাঁর মোবাইলের দোকানে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ভুয়ো নথি দিয়ে প্রচুর সিমকার্ড তোলার প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, আত্মগোপন করে থাকা মোর্চাপ্রধান কোনও কোনও দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বেশ কয়েকবার মোবাইল নম্বর পাল্টেছেন। হেমন্তের কাছ থেকেই তিনি সিম কার্ড নিতেন। পুলিশ সূত্রের মতে, গুরুঙ্গ এখনও সিকিমে লুকিয়ে রয়েছেন। দক্ষিণ সিকিমের পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়ে ওই রাজ্যে তল্লাশির আবেদন করেছে সিআইডি।

এ দিনই চকবাজারে মোর্চা সমর্থকদের হাতে পুলিশ আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ পাল্টা লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটায়। পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে, বিনা অনুমতিতে আর সভা করতে দেওয়া হবে না। মোর্চার অবশ্য দাবি, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি চালিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement