Jamalpur kangaroo court

সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধরকাণ্ডে ১২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর! প্রশ্ন, তৃণমূল নেতার নাম কই?

বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, খুনের হুমকি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে গত ২৫ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জামালপুর থানার চকদিঘি অঞ্চলের কুবাজপুর গ্রামের সাহানারা বিবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

জামালপুর শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ২২:০৮
Share:

—ফাইল চিত্র

সালিশি সভায় হাজির না হওয়ায় বৃদ্ধ এক দম্পতি ও তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগে পদক্ষেপ করল পুলিশ। ১২ জনের নামে রুজু হল এফআইআর। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করেছে।

Advertisement

বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর, খুনের হুমকি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে গত ২৫ জুন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জামালপুর থানার চকদিঘি অঞ্চলের কুবাজপুর গ্রামের সাহানারা বিবি। সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ১২ জনের নামে এফআইআর রুজু করে তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আদালতের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সালিশি সভার ডাক দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল জামালপুরের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে। তাঁর নামে এফআইআর না-হওয়াতেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা।

যদিও পুলিশের ব্যাখ্যা, সাহানারা ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাই শুধু তাঁদের বিরুদ্ধেই এফআইআর হয়েছে। তদন্তে যদি দেখা যায়, ঘটনায় সঙ্গে আজাদের যোগ ছিল, তা হলে নিশ্চয়ই তাঁর নামও এফআইআরে যুক্ত হবে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘যাঁদের নামে অভিযোগ এসেছিল, তাঁদের নামে মামলা করা হয়েছে।’’

Advertisement

আজাদ অবশ্য শুক্রবারই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আদালতে যে মামলা চলছে, তার জন্য কেউ সালিশি ডাকে না। আমাদের এলাকায় এ সব হয় না। পারিবারিক বিবাদের ঘটনায় মিথ্যা আমার নাম জড়ানো হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement