নিজস্ব চিত্র
বাগুইআটি-কাণ্ডে নিহত অভিষেক নস্করের দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল, ১৪ দিন পর ঘেরা হল বসিরহাটের হাড়োয়ার সেই এলাকা। বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ ওই এলাকা পরিদর্শন করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দলও। ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয় গোটা এলাকা। যদিও দেহ উদ্ধারের এত দিন পর ওই এলাকা থেকে আদৌ কিছু পাওয়া যাবে কি না, তা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গত ২২ অগস্ট খুনের পরে এক দিনের ব্যবধানে অতনু দে এবং অভিষেকের দেহ উদ্ধার হয়। বসিরহাট পুলিশ জেলার দুই ভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁদের দেহ। অভিষেকের দেহ মিলেছে হাড়োয়া থানার আওতায় কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। সেখানেই বৃহস্পতিবার গেলের সিআইডি আধিকারিকেরা। যে নয়ানজুলিতে অভিষেকের দেহ ভেসে উঠেছিল, সেই জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে। আশপাশ থেকে নমুনা হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছে মাটি ও জল।
গত ২৫ অগস্ট অভিষেকের পচাগলা দেহ ওই নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর গলা ফাঁসের দাগ ছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অভিষেকের শরীরের সঙ্গে দড়ি দিয়ে ইট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যাতে দেহ ভেসে উঠতে না পারে। কিন্তু তার পরেও দেহ ভেসে ওঠে। উদ্ধারের মুহূর্তে অভিষেকের দেহ কী অবস্থায় ছিল, কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে হাড়োয়া থানার পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডির তদন্তকারীরা।
তবে প্রায় ১৪ দিন পর সংগ্রহ করা নমুনা থেকে আদৌ কোনও তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে কি না, তা প্রশ্ন উঠছে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ সন্দীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আশা করছি, কিছু না কিছু নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে।’’