প্রতীকী ছবি।
চোখের সামনে তাঁরা নেই ঠিকই। তবে থাকবেন বইমেলা জুড়ে।
সদ্য-প্রয়াত কবি-সাহিত্যিক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দিব্যেন্দু পালিত, অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়দের নামে তিনটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলঘর চিহ্নিত করা হয়েছে। সাহিত্যিক-সম্পাদক রমাপদ চৌধুরীর নামে একটি গেট থাকছে বইমেলায়। লিটল ম্যাগাজ়িন প্যাভিলিয়ন পিনাকী ঠাকুরের নামে। সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এ ভাবেই সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতের অতীত-বর্তমানের হাত ধরাধরি। বইমেলার উদ্যোক্তা বুকসেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বইমেলার ভিতরের বিভিন্ন সরণিতে সদ্য-প্রয়াত বিশিষ্টদের স্মৃতি তো থাকছেই। তাঁদের স্মরণের আয়োজন থাকবে কলকাতা সাহিত্য উৎসবের আসরেও।’’ চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন থেকে অকালপ্রয়াত কবি-সম্পাদক পৌলোমী সেনগুপ্তও ঠাঁই পাচ্ছেন বইমেলার বুকের মাঝখানে।
বইমেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা কলকাতা সাহিত্য উৎসবের আসর বসবে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি। উদ্বোধনী আসরে বক্তৃতা দেবেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধান অতিথি কবি শঙ্খ ঘোষ। ২৪টি আসরে থাকবেন দেশ-বিদেশের ৬৫ জন সাহিত্যিক। বাংলা সাহিত্যের হালহকিকত চর্চার পাশাপাশি বিশ্ব সাহিত্যের সাম্প্রতিক নানা দিক নিয়েও আলোচনা হবে। ৬০০টি স্টল, ২০০টি লিটল ম্যাগাজ়িনের উপস্থিতি থাকছে মেলার মাঠে। থিমদেশ গুয়াতেমালা-সহ ২৬টি দেশের উপস্থিতির পাশাপাশি এ বার লেপচা জনজাতির সংস্কৃতি মেলে ধরা হবে মেলায়। উদ্বোধনী আসরে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত হবেন প্রবীণ সাহিত্যিক শঙ্কর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলার উদ্বোধন করবেন ৩১ জানুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শ্যামবাজার, বেহালা, গড়িয়া, উল্টোডাঙা, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে বইমেলার পথে ১৯০টি শাট্ল বাস চালানো হবে।