কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই কাঁথির সমবায় কৃষি ব্যাঙ্কের ভোটে! আর্জি কলকাতা হাই কোর্টে

কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনের জন্য গত বছর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার সঙ্গে ছিল সিসি ক্যামেরার নজরদারিও। এ বার কাঁথির অপর এক সমবায় ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১২:৫৮
Share:
কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কেন্দ্রীয় বাহিনী। — ফাইল চিত্র।

কাঁথির সমবায় নির্বাচনে ফের কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে মামলা কলকাতা হাই কোর্টে। আগামী শনিবার কাঁথি সমবায় কৃষি এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ব্যাঙ্কের নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বপন বেরা নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই সমবায় ব্যাঙ্কের সদস্য। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন চেয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

সমবায় ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ঘটনা অতীতেও হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন ছিল। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তা-ই নয়, ভোটে কারচুপি রুখতে সিসি ক্যামেরা বসানোরও নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বার ফের কাঁথির অপর এক সমবায় নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জিতে মামলা হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারী স্বপনের আশঙ্কা, আগামী শনিবার সমবায়ের ভোটের দিন শাসকদল সমর্থিত প্রার্থীরা গোলমাল পাকাতে পারেন। অশান্তির সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচন হয়। ওই সমবায়ে মোট ১০৮টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে শাসকদল সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেছিলেন ১০১টি আসন। বাকি ছ’টি আসন জিতেছিলেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরা। অপর একটি আসনে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী। ওই দিন কাঁথির সমবায় ভোটের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তায় রাখা হয়েছিল আধাসেনা। এ ছাড়াও ১৪টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ৩০০ সিসি ক্যামেরার নজরদারি ছিল। প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। প্রতিটি কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ৬০ থেকে ৮০ জন পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement