Calcutta High Court

Calcutta High Court : মমতার পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে এ বার মামলা দায়ের বিজেপির আইনজীবী নেতার

মামলাকারীর অভিযোগ, একাধিক সরকারি সম্পত্তি বাজারদরের চেয়ে অনেক কম টাকায় কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২২ ১৭:৪৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্ট (ডান দিকে)- ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তরুণজ্যোতি বিজেপির আইনজীবী সেলের সদস্যও বটে। আগামী সপ্তাহে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে।

Advertisement

মামলাকারীর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের একাংশ বিভিন্ন সময় যে সরকারি হলফনামা পেশ করেছেন, তাতে এই বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বলে মামলাকারীর অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে মামলাকারীর তরফে কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই সমীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। কিছু দিন আগে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে, কাজরী তাঁর দেওয়া হলফনামায় অনেক তথ্য দেননি বলে অভিযোগ মামলাকারীর। এ ক্ষেত্রে মামলাকারীর তরফে দু’টি সংস্থার নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এমন অনেক সংস্থায় ওই দম্পতির নাম নথিভুক্ত থাকলেও নির্বাচনী হলফনামায় সেগুলোর কোনও উল্লেখ করা হয়নি। কাজরী হলফনামায় দাবি করেছিলেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। তা সত্ত্বেও তাঁদের এত বিপুল পরিমাণ আয়ের উৎস কী তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মামলাকারীর তরফে। তাঁরা তাঁদের ছেলের সম্পত্তির কোনও খতিয়ান পেশ করেননি বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

মামলাকারীর আরও অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন রেজিস্ট্রারের থেকে প্রাপ্ত নথিতে দেখা গিয়েছে যে, একাধিক সরকারি সম্পত্তি বাজারদরের চেয়ে অনেক কম টাকায় কিনেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। মামলাকারী দাবি করেছেন, ২০১৩ সালের পর অধিকাংশ সম্পত্তি কেনা হয়েছে। ২০১৩ সালেই রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে। এই দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলাকারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement