এই রাস্তা নিয়েই দীর্ঘদিনের অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
প্রায় দশক গড়াতে চলল। কিন্তু মাওবাদী উপদ্রুত পুরুলিয়ার কোটশিলা থানা লাগোয়া রাস্তা পাকা করার দাবি পূরণ হয়নি এখনও। তার জেরে নিত্য দিন চরম দুর্দশা ভোগ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ আশপাশের দেড়শোর বেশি গ্রামের মানুষের। রাস্তায় নেমে সমস্যায় পড়ছেন কোটশিলা থানার কর্মীরাও।
২০০৬ সালে বাম জমানায় ঝালদা থানা ভেঙে গড়া হয়েছিল নতুন থানা কোটশিলা। সেই সময় থেকে প্রায় ৭ বছর থানা চলত কোটশিলা গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কয়েকটি ঘর নিয়ে। ২০১৩ সালে পুরুলিয়া-রাঁচি সড়ক থেকে ২ কিমি ভিতরে তৈরি হয় কোটশিলা থানার নতুন ভবন। পাকা রাস্তা থেকে থানায় পৌঁছতে ২ টি পথ রয়েছে। একটি কোটশিলা স্টেশনের পাশে দিয়ে। অপরটি কোটশিলা বাজারের ভিতর দিয়ে। দুটি রাস্তার দূরত্ব সামান্য। কিন্তু সেই সামান্য পথ পেরোতেই সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশকর্মী সকলকেই নরক যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বেগতিক দেখে শেষপর্যন্ত বুধবার থানা থেকেই ওই রাস্তায় মোরাম ফেলে মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছে।
ঝালদা ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘রায়তি জমির জন্য রাস্তার কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। কী করা যায় তার দ্রুত সমাধান বের করার চেষ্টা করছি।’’ একই কথা বলছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারাও। তাঁদের দাবি, জমি জটে থমকে রয়েছে ওই রাস্তা পাকা করার কাজ।
আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধ্যায় ‘ক্লোজড’, দলের অন্দরে স্পষ্ট বার্তা দলনেত্রী মমতার
আরও পড়ুন: হলদিয়ায় একমঞ্চে কুণাল-লক্ষ্মণ, নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা