স্মরণে খুদে পড়ুয়ারা। —নিজস্ব চিত্র
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নাম থেকে যাবে তাঁর আমলে তৈরি বিরাট মসৃণ হাইওয়েতেই। এলাকার বহু মানুষ তাই মনে করছেন।
মালদহের গাজল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর-বালুরঘাট হয়ে হিলি পর্যন্ত প্রায় ৯৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সোনালি চতুর্ভুজের ডবল লেনের মসৃণ ওই রাস্তা বর্তমানে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে বসে চা পান করা যায়। এতটাই ঝাঁকুনিহীন সড়ক যাত্রা প্রসঙ্গ ধরেই প্রয়াত বাজপেয়ীর দুরদর্শিতার কথা তুলে ধরেন বালুরঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরীও। তিনি বলেন, ‘‘সারা দেশে চওড়া রাস্তা থেকে বাংলার সঙ্গে বিহার ঝাড়খণ্ড সহ উত্তরপূর্ব ভারতের সড়ক পথ যোগাযোগে ওঁর সোনালী চতুর্ভুজ এক বিরাট অবদান। তা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো সীমান্তবর্তী জেলাও যুক্ত হয়েছে।’’ বিশ্বনাথবাবুর কথায়, ‘‘দেশের এক কোণে পড়ে থাকা পশ্চাৎপদহীন এ জেলার যাতায়াত সমস্যা নিরসনে তৈরি ওই রাস্তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর নাম।’’
বাজপেয়ীকে এ দিন শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করলেন বালুরঘাটের খুদে পড়ুয়া থেকে বিশিষ্ট নাগরিকরা। শুক্রবার সকালে শহরের চকভবানী এলাকার একটি বেসরকারি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বাহ্যিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি একান্ত আলোচনায় এ জেলায় সোনালি চতুর্ভুজ রাস্তার প্রাপ্তিতে বাজপেয়ীর অবদানের কথাও উঠে এল স্থানীয় বিধায়ক থেকে বাসিন্দাদের মুখে।