দিদি ভাল কিন্তু তোলাবাজি চলছেই, শুনে এলেন বিধায়ক

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা। বিধায়কের কাছে তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন, কেশপুরের মাজুরিয়া স্কুলের শিক্ষক বাহার আলি।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৪০
Share:

শিউলি সাহা।—ফাইল চিত্র।

জনসংযোগের জন্য যাঁকে নিয়ে বিধায়ক গ্রামে ঢুকবেন, তিনিই নিজেকে ‘তোলাবাজি’র শিকার বলে দাবি করলেন। এ ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের।

Advertisement

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে গিয়ে এমনই অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা। বিধায়কের কাছে তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন, কেশপুরের মাজুরিয়া স্কুলের শিক্ষক বাহার আলি। কেশপুরে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে স্থানীয় বিশিষ্ট হিসেবে তাঁকে বেছে দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাই। কিন্তু বাড়িতে যেতেই বিধায়কের কাছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ জানিয়েছেন সেই শিক্ষক। শুধু তিনিই নন, গ্রামের আরও অনেকেই শাসকদলের এই জরিমানার শিকার হয়েছেন বলেও বিধায়ককে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক।

গতসপ্তাহে বিধায়ক তাঁর বাড়িতে এলে শিক্ষক জানিয়েছেন, তৃণমূল সরকার ও মুখ্যমন্ত্রীর কাজে শিক্ষক হিসেবে অন্য শ্রেণির মানুষের সঙ্গে তিনিও মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে উপকৃত। কিন্তু বিনা কারণে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের দফায় দফায় ৯০ হাজার টাকার বেশি তোলা দিতে হয়েছে তাঁকে। দলের কারা এই টাকা নিয়েছেন, তাঁদের নামও বিধায়ককে জানিয়েছেন ওই শিক্ষক। তোলা না দেওয়ায় দীর্ঘদিন তাঁকে স্কুলে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও বিধায়কের কাছে নালিশ জানিয়েছেন ওই শিক্ষক। শিউলি অবশ্য এ নিয়ে বিশদ কিছু বলেননি। তাঁর কথায়, ‘‘জনসংযোগে নানারকম অভিযোগ পেয়েছি। উপযুক্ত জায়গায় তা জানিয়ে দিয়েছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘যেখানে এইরকম অভিযোগ রয়েছে, বলে দিয়েছি, দলকে কোথাও কোনও টাকা দিতে হয় না।’’

Advertisement

কেশপুরে সিপিএমের জরিমানা আর সামাজিক বয়কটের রাজনীতি নিয়ে বাম-জমানায় বারবার অভিযোগ উঠেছে। পরিবর্তনের পরে সেই অভিযোগ এড়াতে পারছে না তৃণমূলও। কেশপুরের ১৪ নম্বর ঝ্যাতড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাজুরিয়ার বাসিন্দা এই শিক্ষক তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বকে আগেও এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কাজ না হওয়ায় এবার বিধায়কের মাধ্যমে দিদির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।

একাধিক জায়গায় বিধায়কেরা স্থানীয় নেতাদের সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েছেন। ‘তোলাবাজি’ থেকে শুরু করে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দিতে ‘কাটমানি’—বিধায়কদের মাধ্যমে এইরকম আরও অভিযোগ এসেছে। দলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এইধরনের ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই কারণেই জনসংযোগ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে এটা রাজ্যের সাধারণ চিত্র নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement