বঙ্গে আরও ২৩টি ডাকঘরে পাসপোর্ট সেবা

পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে যাতে বহু পথ পেরোতে না-হয়, হয়রান হতে না-হয়, তার জন্য ২০১৭ সালের গোড়ায় বিদেশ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, জেলার মূল ডাকঘরেও একটি করে পিএসকে খোলা হবে।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:১২
Share:

রাজ্যের ১৫টি ডাকঘরে ইতিমধ্যেই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র বা পিএসকে খোলা হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র। ফেব্রুয়ারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও ২৩টি ডাকঘরে পিএসকে খোলার নির্দেশ দিয়েছে তারা।
পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীকে যাতে বহু পথ পেরোতে না-হয়, হয়রান হতে না-হয়, তার জন্য ২০১৭ সালের গোড়ায় বিদেশ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, জেলার মূল ডাকঘরেও একটি করে পিএসকে খোলা হবে। নাম দেওয়া হবে পিওপিএসকে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসানসোলে খোলা হয় রাজ্যের প্রথম পিওপিএসকে। সেটি ছিল দেশের তৃতীয় পিওপিএসকে। তার পর থেকে সব মিলিয়ে রাজ্যের ১৫টি ডাকঘরে পিএসকে খোলা হয়েছে। কেন্দ্র চায়, অবিলম্বে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু হোক বাংলার আরও ২৩টি ডাকঘরে। পরিসংখ্যান বলছে, বেশ কয়েকটি রাজ্যের ৫০ শতাংশ পাসপোর্টের আবেদনই আসছে ডাকঘরে তৈরি পিওপিএসকে থেকে। পশ্চিমবঙ্গে পাসপোর্টের জন্য আবেদনের ১৫ শতাংশ ডাকঘর থেকে আসছে। এই পরিস্থিতিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গত সোমবার দিল্লিতে সব রাজ্যের পাসপোর্ট অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে একটি করে পিওপিএসকে খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে এ রাজ্যে এখন বিদেশ মন্ত্রকের নিজস্ব পিএসকে রয়েছে তিনটি। সেই তিনটি পিএসকে এবং ১৫টি পিওপিএসকে ধরলে বাকি থাকে ২৪টি কেন্দ্র।
পূর্ব ভারতের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার বলেন, ‘‘আসানসোল, কৃষ্ণনগর, ব্যারাকপুর, বর্ধমান, মালদহ ও খড়্গপুরে আমরা ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ কিন্তু ডায়মন্ড হারবার, রামপুরহাট, বালুরঘাট, রায়গঞ্জ-সহ কিছু পিওপিএসকে-তে দিনে যত বেশি মানুষ পরিষেবা নিতে পারেন, তার ৫০ শতাংশও তা নিচ্ছেন না। অভিযোগ উঠছে লোকবলের অভাব নিয়ে। পরিষেবা দিতে দিনের পর দিন অফিসারদের উপরে যত চাপ বাড়ছে, সেই তুলনায় কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। তার উপরে ২৩টি ডাকঘরে পরিষেবা দিতে গেলে প্রতি ডাকঘরে দু’জন কর্মী নিয়োগ করতে হবে। এত কর্মী কোথায় মিলবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্তারা।
কলকাতার চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘এক মাসের মধ্যে ২৩টি ডাকঘরে পাসপোর্ট পরিষেবা দিতে আমরা প্রস্তুত। কোথাও জায়গার সমস্যা থাকলে অন্য ডাকঘরে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement