শিয়ালদহে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত যাত্রীরা। ছবি: উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
রাত ১০টা ৫৫ মিনিট। শিয়ালদহের ৬ থেকে ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রয়েছে একের পর এক লোকাল ট্রেন। সেই সঙ্গে থিক থিক করছে ভিড়। কেউ ধরবেন মেন লাইনের ট্রেন। কেউ বা বনগাঁ লোকাল। কারও ধরার কথা হাসনাবাদের ট্রেন। প্ল্যাটফর্মের বোর্ডে একের পর এক ট্রেন এবং তাদের শিয়ালদহ থেকে ছাড়ার সময়ের কথা লেখা থাকলেও ভিড় এক ফোঁটা কমেনি। প্ল্যাটফর্মে যে ট্রেনগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে সেগুলিও ভিড়ে ঠাসা।
রাত ১১টার বিশেষ মেট্রো ধরার জন্য যাত্রীদের ভিড়। ছবি: কমলিকা ভট্টাচার্য্য।
শিয়ালদহের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। তার জেরে বদল আনা হয়েছে রেল পরিষেবায়। বহু ট্রেন বাতিল। অনেক ট্রেন যাত্রা শুরু ও শেষ করবে দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বারাসত এবং কল্যাণী স্টেশনে। রাত ১১টার সময় শিয়ালদহ পৌঁছে দেখা গেল, তখনও ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়েনি রাত ১০টা ১৫-এর হাসনাবাদ লোকাল। ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে রাত ১০টা ৩৪ মিনিটের বনগাঁ লোকাল। ৬ নম্বরে দাঁড়িয়ে রাত ১০টা ৪০ মিনিটের শান্তিপুর লোকাল। ৭ নম্বরে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের রানাঘাট লোকাল। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে ট্রেন চালানো হবে তার সবক’টি ১২ কোচের হবে। কিন্তু, সারাদিনের পাশাপাশি রাতেও দেখা গেল বহু ৯ কোচের ট্রেন চালাচ্ছে রেল। একে তো ট্রেনের সংখ্যা কম। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তার উপরে ৯ কোচের ট্রেন চালানোয় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয়েছে ট্রেনগুলিতে।
একই রকম ভাবে দমদম স্টেশনে রাত ১১টা নাগাদ মারাত্মক ভিড় দেখা গেল। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ এখানে শেষ হওয়ায় রাত ১১টার বিশেষ মেট্রোতেও ভিড় হয়েছে সাংঘাতিক। কিন্তু রাত ১১টার বিশেষ মেট্রো সোম থেকে শুক্রই চলে। ফলে শুক্রবার যাঁরা রাতের মেট্রো ধরেছেন তাঁদের প্রশ্ন, শনি-রবি কী হবে। কারণ রেল জানিয়েছে, শিয়ালদহের ওই কাজ হবে রবিবার পর্যন্ত।