বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। —ফাইল চিত্র।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের নানা ব্যবস্থাকে প্রায়ই উড়ানের সমতুল বলে থাকেন রেল কর্তারা। সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রীরা অসুবিধা নিয়ে রীতিমতো জেরবার। অভিযোগ, ওই ট্রেনের বাতানুকূল চেয়ারকারে মালপত্র রাখার জায়গা নিয়ে যাত্রীদের বিবাদ কার্যত নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন রেল কর্তারাও।
উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের কাছে অন্যতম পছন্দের ট্রেন এই বন্দে ভারত। বছরভর টিকিটের চাহিদা ১০০ শতাংশের ধারেপাশে থাকছে। কিন্তু, সব কিছু ছাপিয়ে ফুটে উঠছে অসুবিধার ছবি। ওই ট্রেনে লাগেজ রাখা নিয়ে দুই যাত্রীর বিবাদের ছবি সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা গিয়েছে, ওই বিবাদ থামাতে গিয়ে রেলরক্ষী বাহিনীকেও হিমসিম খেতে হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, আসনের উপরে মালপত্র রাখার জায়গা খুবই অপরিসর। বাতানুকূল চেয়ারকারে এক দিকে তিনটি ও অন্য দিকে দু’টি করে আসন রয়েছে। মাঝে এক জন যাতায়াতের পরিসর থাকে। আসনের উপরের দিকে মালপত্র রাখার বাঙ্ক। অভিযোগ, অনেকেই নিজেদের আসনের উপরে মালপত্র রাখার জায়গা পাচ্ছেন না। প্রায়শই অন্য যাত্রীদের মালপত্র ওই জায়গা দখল করে ফেলছে।
অন্য এক্সপ্রেস ট্রেনে আসনের নীচে বা পাশে ব্যাগ রাখা গেলেও বন্দে ভারতে ওই সুবিধা নেই। শীতকালে পাহাড়মুখী যাত্রীদের সঙ্গে একাধিক মালপত্র থাকে। রেল সূত্রের খবর, স্লিপার শ্রেণির ট্রেনে এবং বন্দে ভারতের এগ্জ়িকিউটিভ শ্রেণিতে বাড়তি জায়গা থাকায় ততটা অসুবিধা হচ্ছে না। যাত্রীদের একাংশের দাবি, বিমানের মতো ঢাকা বাঙ্ক তৈরি করা হোক। অনেকে দু’টি আসনের মাঝের দূরত্ব বাড়ানোর কথা বলছেন। এক রেল কর্তা জানান, সারা দেশেই বন্দে ভারতের যাত্রীদের অভিজ্ঞতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরের দিকের ট্রেনগুলিতে সেই অনুযায়ী রদবদল হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও তেমন করা হতে পারে।