Mamata Banerjee

Mamata Banerjee: মমতার পরে কে, বললেন না পার্থ

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সম্প্রতি এই চর্চা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২২ ০৬:০৩
Share:

ফাইল চিত্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী কে, তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরে নেতা-নেত্রীদের মন্তব্যে সম্প্রতি তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। এ বার তাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি শুক্রবার বলেছেন, মমতা যতক্ষণ আছেন, তত ক্ষণ মমতার পরে কে নেতা, তা তিনি বলতে পারছেন না।

Advertisement

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সম্প্রতি এই চর্চা প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন। তৃতীয় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে একটি ফেসবুক পোস্টে কুণাল জানিয়েছিলেন, ২০৩৬ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাই। তার পরে মমতার অভিভাবকত্বে মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক। একই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে অভিষেকের নাম করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও। অপরূপা অবশ্য আরও এক পা এগিয়ে টুইট করে বলেছিলেন, তিনি চান, ২০২৪ সালে মমতা প্রধানমন্ত্রী হন। আর তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন অভিষেক। অপরূপা তাঁর টুইটটি পরে মুছে দিলেও কুণাল তা করেননি।

পুরভোটের আগে তৃণমূলের প্রবীন ও নবীনের মধ্যে টানাপড়েন প্রকাশ্যে চলে আসে। প্রার্থী বাছাই থেকে পদাধিকারী নির্বাচন পর্যন্ত, পুরনোদের পক্ষে দাঁড়িয়ে সক্রিয় ছিলেন পার্থ। এ বার মমতার উত্তরসূরি নিয়ে চর্চাতেও তিনি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিলেন। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা এই মুহূর্তে ভাবতে পারছি না।’’ মুখ্যমন্ত্রী-পদে অভিষেকের উত্তরাধিকার নিয়ে প্রবীন নেতার এই মন্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Advertisement

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘অভিষেক তরুণ প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ নেতা। তবে মমতাকে সামনে রেখে তুলনা করা যায় না।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘অভিষেক তো বলেছেন, ২০ বছর সরকার নিয়ে ভাববেন না। তার পরেও লোকে কেন বলছে?’’ উত্তরাধিকার প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পার্থবাবু আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে চালাচ্ছেন, তিনি দীর্ঘদিনের ইতিহাস তৈরি করবেন। মমতার পরে কে নেতা হবেন, মমতা যতক্ষণ আছেন, বলতে পারছি না।’’

এসএসসি-র শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে যখন রাজনৈতিক মহলে চর্চা চলছে তখনও কুণালের একটি মন্তব্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। কুণাল এ ব্যাপারে জবাবদিহির দায় সরাসরি তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর দিকেই ঠেলে দিয়েছিলেন। পার্থবাবু এ দিন বলেছেন, ‘‘আমার নাম দুর্নীতিতে জড়ায়নি। চেষ্টা করেও পারবেন না!’’ তাঁর দাবি, ‘‘আমি যত দিন ছিলাম, (শিক্ষামন্ত্রী) দুর্নীতির অভিযোগ আসেনি।’’

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে একাধিক বার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দায় এড়িয়েছেন। প্রকাশ্যেই তিনি বলেছেন, যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে তখন তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন না। এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর এ দিনের মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের কোন বিজ্ঞ কী বলল, তা নিয়ে কিছু বলব না।’’ দুর্নীতির প্রশ্নে মন্ত্রীর দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘কার সময়ে হয়েছে, এটাতে আমি বিশ্বাসী নই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement