Nihar Bhakta

শ্রাবন্তীকে ফোন পার্থর, ভোটের লড়াই ভুলে  উন্নয়নের কাজে ডাক বাম প্রার্থী নীহারকেও

২০০১ সালে প্রথম বার জোড়াফুলের প্রতীকে বেহালা পশ্চিম আসনে প্রার্থী হন পার্থ। সেই থেকেই শুরু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২১ ২৩:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

দিন দশেক আগেই তাঁর দুই প্রতিপক্ষকে ধরাশায়ী করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে তিনি ফোন করলেন ওই দুই প্রতিপক্ষকে। বেহালা পশ্চিমের পঞ্চম বারের বিধায়ক পার্থ বুধবার ফোন করেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরেই পার্থর ফোন যায় ওই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী নীহার ভক্তের কাছে। দু’জনের সঙ্গেই বেশ কিছু ক্ষণ কথা বলেন তিনি। দু’জনকেই বেহালা তথা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য তাঁর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে অনুরোধ করেন পার্থ। তাঁরা সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, এমনটাই দাবি পার্থর।

Advertisement

পরে পার্থ বলেন, ‘‘ভোট শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন যাবতীয় রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, মানুষের কাজ করার সময়। আমি প্রথম থেকেই বেহালায় বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করে এসেছি। এ বারও তাই করছি। ওঁরা বিরোধী শিবিরের হলেও, ভোটের প্রচারে নেমে এলাকার কোনও না কোনও সমস্যা হয়তো চোখে পড়েছে। তাই আমি এক জন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই ওঁদের মতামত জানতে চেয়েছি। দু’জনেই সহযোগিতা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।’’

২০০১ সালে প্রথম বার জোড়াফুলের প্রতীকে বেহালা পশ্চিম আসনে প্রার্থী হন পার্থ। সেই থেকেই শুরু। তার পর টানা পাঁচ বার বিধায়ক হয়েছেন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে। এ বার ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। শিক্ষা দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলে এ বার কাঁধে শিল্প। কিন্তু পার্থর পাখির চোখ বেহালাই। প্রতিপক্ষ অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর সঙ্গে না থাকলেও, সিপিএম নেতা তথা ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর নীহারের সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। এলাকার কাজকর্ম নিয়ে নীহারের সঙ্গে প্রায়ই আলোচনা করেন পার্থ। প্রাক্তন কাউন্সিলরের মতামত নিয়ে যেমন কাজ করতে চান পার্থ, তেমনই বেহালার ভূমিকন্যা শ্রাবন্তীর মতামতকেও গুরুত্ব দিতে চান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement