ইডেন গার্ডেন্স। —ফাইল চিত্র।
ইডেন গার্ডেন্স চত্বরে পার্কিং ঘিরে জট কাটাতে শনিবার বৈঠক হল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর। কিন্তু তাতেও দিনের শেষে জট কাটল না বলেই খবর। সেনাকে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে। সেনাবাহিনীও চিঠি দিয়ে সিএবি-র সঙ্গে বৈঠকে বসার তোড়জোড় করছে বলে জানা গিয়েছে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচের পরেই ইডেন গার্ডেন্স চত্বরে পার্কিং ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। তাদের কিছু না জানিয়েই প্রায় তিন হাজার গাড়ি ময়দান চত্বরে রাখার ঘটনায় সেনার তরফে উষ্মা প্রকাশ করা হয়। পুলিশকে চিঠি দিয়ে পার্কিং না
করার কথা জানায় সেনা। পার্কিং করানোর জন্য ময়দানে কোথাও কোনও ব্যারিকেড লাগানো থাকলে দ্রুত তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়।
পুলিশ দাবি করে, আইপিএলের আয়োজক তারা নয়। ফলে, পার্কিং কোথায় করা হবে, সে বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। সেই সময়ে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) তরফেও জানানো হয়, তাদের এমন কোনও চিঠি সেনাবাহিনীর তরফে দেওয়া হয়নি। আগামী ৩ এপ্রিল পরবর্তী খেলা রয়েছে ইডেন গার্ডেন্সে। এই পরিস্থিতিতেই জটিলতা কাটাতে পদক্ষেপ করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, সেনাবাহিনীর সঙ্গে এ দিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক)-সহ পদস্থ পুলিশকর্তারা। তবে, সিএবি-র কোনও প্রতিনিধি সেখানে ছিলেন না। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘চলতি বছরে ১৮তম আইপিএল চলছে। গত ১৭ বছরে যে ভাবে চলেছে, এ বারেও সে রকমই করা হয়েছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর মনে হয়েছে, তাদের অনুমতি না নিয়েই পার্কিং করা হয়েছে। এ দিন বৈঠকে সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে, পার্কিং নিয়ে তাদের বক্তব্য থাকলে তা যেন সরাসরি আইপিএল আয়োজকদের জানানো হয়।’’
এর পরে সিএবি এবং সেনার মধ্যে এ নিয়ে বৈঠক হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সেনার এক আধিকারিক এ দিন জানিয়েছেন, বৈঠকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে সেনা। এক সেনাকর্তা বলেন, ‘‘মানবিক কারণে কোনও বারই বাধা দেওয়া হয় না। কিন্তু এ বার পার্কিংয়ে সেনার প্রশিক্ষণে সমস্যা হচ্ছে। সেই কারণেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এ বার সিএবি-কেও চিঠি দেওয়া হবে এ ব্যাপারে।’’