হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জাদুঘরের গুলি কাণ্ডে আহত সুবীর ঘোষ।
চাকুরি জীবন শেষের পথে। এক বছরেরও কম। এ বার পাকাপাকি ভাবে গ্রামের বাড়িতে থাকবেন বলে ভাবনা চিন্তা করেছেন। সেই মতো কয়েক দিন আগে বাড়িও মেরামত করেছেন। রবিবার গ্রামের বাড়িতে আসবেন বলে জানিয়েছিলেন। তার আগেই শনিবার সন্ধ্যায় একে-৪৭ বন্দুক থেকে সহকর্মীর ছোড়া গুলিতে জখম হন কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত সুবীরকুমার ঘোষ।
শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ভারতীয় জাদুঘর চত্বরে গুলির শব্দে চমকে উঠেছিলেন আশপাশের লোকজন। কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানের ছোড়া গুলিতে নিহত হন এক জওয়ান। আহত হন সুবীরকুমার ঘোষ। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুবীরকুমারের আদি বাড়ি নদিয়ার চাকদহ-কল্যাণী ভায়া মদনপুর রাজ্য সড়কের ধারে চাকদহ থানার আলাইপুরে। তাই সংবাদমাধ্যমে সুবীরের গুলিতে জখম হওয়ার খবর প্রচারিত হলে রবিবার সকাল থেকে আশপাশের লোকজন তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন।
সুবীরের ভাই সরোজকুমার ঘোষ বলেন, সম্প্রতি সুবীরের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে ডিউটি করার কথা ছিল। এরই মধ্যে ওই ঘটনা। তিনি জানান, সুবীরকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন কোয়ার্টারে আছেন। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার রাতে আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দূর থেকে দাদাকে দেখে ফিরে এসেছি। কোনও কথা বলার সুযোগ হয়নি। এখনই দাদার গ্রামের বাড়িতে ফেরার সম্ভাবনা দেখছি না।’’
সুবীরের খুড়তুতো বৌদি বাসন্তী ঘোষ জানান, চাকুরি জীবন শেষ করে বাড়িতে থাকবেন বলে কয়েক দিন আগে সুবীর বাড়ি মেরামত করিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগে এই ঘটনা। তিনি বলেন, ‘‘যখন থেকে দেওরের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শুনেছি, উৎকণ্ঠায় রয়েছি।’’ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কুমুদ সরকার বলেন, ‘‘সুবীরদা খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। ছোট বেলায় আমি নিজে বিভিন্ন মাঠে তাঁর খেলা দেখতে গিয়েছি। তিনি বিপন্মুক্ত শুনে এলাকার মানুষ দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসুন।’’