পুলিশের গাড়ি থেকে হাত নাড়ছেন আততায়ী।
ধাওয়া করে তিন বার গুলি চালানো হয়েছিল সিআইএসএফ বা কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গীকে লক্ষ্য করে। প্রথম বুলেট ছোড়া হয় ঘোরাঘুরির সময়, ব্যারাকে যাওয়ার পথে দ্বিতীয় বুলেট এবং ব্যারাকের বাইরে ফাঁকা জায়গায় ষড়ঙ্গীর নিথর শরীরের একেবারে কাছে গিয়ে তৃতীয় গুলি ছোড়ে অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল অক্ষয়কুমার মিশ্র। জাদুঘরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। গোয়েন্দাদের মতে, কারও উপরে প্রবল ক্রোধ থাকলে এ ভাবে গুলি করা যায়।
তদন্তকারীদের দাবি, অস্ত্রাগারের দায়িত্বের সঙ্গেই বাহিনীর একটি কোম্পানির মাথা ছিল অক্ষয়। জওয়ানদের প্যারেড, রোল-কল করাত সে। শনিবার বিকেলেও রোল-কল হয়েছিল। পুলিশের দাবি, রোল-কলের সময় কয়েক জন জওয়ান গরহাজির ছিলেন, কয়েক জন দেরি করে আসেন বলে তাঁকে তিরস্কার করেন এসিপি সুবীর ঘোষ। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে অক্ষয়।
পুলিশ জানায়, অক্ষয়ের বাবার মৃত্যু হয়েছে গত ২৬ এপ্রিল। সহকর্মীরা জানাচ্ছেন, বাবার মৃত্যু এবং বাহিনীতে অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়ার পরেই অক্ষয়ের আচরণে লক্ষণীয় পরির্বতন ঘটে। সকলকে সে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে। ওই পরির্বতন দেখে গত জুনে সিআইএসএফ কর্তৃপক্ষ তাকে সাইকোলজিক্যাল ক্লাসে পাঠাতে চাইলেও অক্ষয় যায়নি।
পুলিশ জানায়, শনিবার বিকেলে প্রথমে গুলি লাগে এসিপি-র। তার পরে বাকিরা পালিয়ে গেলে এএসআই রঞ্জিতকে গুলি করে সে। রঞ্জিত মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরে অক্ষয় গুলি চালাতে চালাতে অন্য দিকে চলে যায়। পরে সে ব্যারাকের দিকে ফিরে এসে পড়ে থাকা রঞ্জিতকে লক্ষ্য করে সামনে থেকে গুলি করে।
পুলিশের দাবি, তারা যখন অক্ষয়কে নিরস্ত করতে ভিতরে ঢুকেছিল, তখন সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার কথাও বলেছিল। কিন্তু তাকে বুঝিয়েসুজিয়ে আত্মসমর্পণে রাজি করানো হয়।