ফাইল ছবি
মুখ্যমন্ত্রীর কোনও কর্মসূচিতেই ডাক পেলেন না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আলিপুরদুয়ারে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি দলের একটি কর্মিসভায় যোগ দেবেন। বুধবার একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। পরে তিনি বাগডোগরা হয়ে কলকাতায় ফিরবেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কোনও কর্মসূচিতেই ডাকা হয়নি পরেশকে। এ দিন কলকাতায় মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তিনি যোগ দেননি।
পরেশ মেখলিগঞ্জে রয়েছেন। তিনি বলেন, “আলিপুরদুয়ারের কর্মসূচিতে কোচবিহারের কাউকেই ডাকা হয়নি।” তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ও একই কথা জানিয়েছেন। তবে শাসক দলের একটি অংশ মনে করছে, কোচবিহার থেকে অন্য নেতাকে না ডাকলেও মন্ত্রী হিসেবে পরেশ ডাক পাবেন, তা সবাই ভেবেছিলেন।
পরেশের বিরুদ্ধে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে তাঁর মেয়েকে দুর্নীতি করে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে। তিন দফায় পরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে পরেশের মেয়ের চাকরি গিয়েছে। পরেশ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন।
কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার মিলিয়ে তৃণমূলের ৩ জন বিধায়ক রয়েছেন। তার মধ্যে এক জন মন্ত্রী। আশপাশের জেলায় তৃণমূলের কোনও মন্ত্রী নেই। স্বাভাবিক ভাবেই পরেশের গুরুত্ব একটু বেশি থাকা উচিত বলেই মনে করেন জেলা তৃণমূলের অনেকে। দলের একটি অংশের দাবি, দলে পরেশের গুরুত্ব বরাবর ভাল। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা গিয়েছে। মন্ত্রিসভার প্রায় সব বৈঠকেই পরেশ হাজির থাকতেন। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে পর পর দু’বার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেখা যায়নি পরেশকে। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সমস্ত বৈঠকেই দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। দুর্নীতিতে যুক্ত কাউকে তিনি ছাড় দেবেন না বলেও বার্তা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচিতে পরেশের ডাক না পাওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।