বিপত্তি এড়াতে সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
কার্যত পরীক্ষাই! কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত বিভিন্ন গ্রামীণ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এসে দিল্লির প্রতিনিধিরা কোনও প্রশ্ন করলেন আর জেলার এক-এক জন অফিসার এক-এক রকম জবাব দিলেন— এমন বিপত্তি এড়াতে সমন্বয়ে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে বলে প্রতিটি জেলাকে নির্দেশ দিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।
প্রশাসনিক সূত্রের ব্যাখ্যা, সমীক্ষা-পদ্ধতিতে বদল এনে কেন্দ্রীয় সদস্যেরা একেবারে নিজেদের মতো সমীক্ষার এলাকা নির্বাচন থেকে প্রকল্পের নথি খতিয়ে দেখছেন। জেলাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন পৃথক ভাবে। নথিপত্র খুঁটিয়ে দেখে প্রশ্নও করছেন জেলার আধিকারিকদের। বাস্তবের সঙ্গে সরকারি কাগজপত্রের ফারাক থাকছে কি না, মূলত সেটাই বুঝতে চাইছেন সমীক্ষকেরা। ফলে প্রতিটি কাজের খুঁটিনাটি জেনে রাখতে হচ্ছে জেলা প্রশাসনের সকলকেই। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বক্তব্য, তাতেই সমন্বয় রাখতে বলা হচ্ছে দফতরের তরফে। কোনও বিষয়ে অফিসারদের মধ্যে পৃথক বক্তব্য ধরা পড়লে সমস্যা হতে পারে।
আধিকারিকদের মতে, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ প্রায় এক বছর। তাতে জব-কার্ড, শ্রমিকদের ‘মাস্টার রোল’ বা মূল তালিকা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা রাজ্য সরকার আগেই দিয়েছে। আট মাস বন্ধ থাকার পরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নতুন করে বরাদ্দ চালু করার বার্তা আসে গত নভেম্বরে। ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের তালিকা সংশোধন করে চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে বলা হয়েছিল রাজ্যকে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্য কমবেশি সাড়ে ১০ লক্ষ উপভোক্তাকে অনুমোদন দিয়েছে। সেই কাজ কতটা নিখুঁত হয়েছে, সেটাই বুঝে নিতে চাইছে কেন্দ্র। তাই এই বিপুল কাজের ব্যাখ্যা-সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য প্রস্তুত রাখতে বলা হচ্ছে জেলাকর্তাদের।
এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “কোন পদক্ষেপের পিছনে কী যুক্তি কাজ করেছে, তা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে না-পারলে সমস্যা হতে পারে।” উপভোক্তা তালিকা অনুমোদিত হলেও বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা এখনও ছাড়েনি কেন্দ্র। আশা, সমীক্ষার শেষেই তা আসবে। তাই রাজ্যের কাছে তা বেশ গুরুত্বের। গ্রামীণ প্রকল্পগুলির কাজকর্ম দেখে ২০ জানুয়ারির মধ্যে কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট পেশ করা হবে।