নিউটাউনের আবাসনে পুলিশের দল ফাইল চিত্র
নিউটাউন এনকাউন্টার-কাণ্ডে পাক যোগের তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। জানা গিয়েছে, ধৃত সুমিত কুমার ও ভরত কুমারের সঙ্গে পাক গুপ্তচর সংস্থার যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অন্য দিকে, এই ঘটনায় পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিৎ সিংহকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
গত সপ্তাহে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতীদের খোঁজে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বাহিনী। সেখানেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় জয়পাল সিংহ ভুল্লার এবং যশপ্রীত সিংহ নামে দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর। ওই দুষ্কৃতীরা মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় সুমিত কুমার ও ভরত কুমার নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে পাক যোগের তথ্য উঠে আসে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে তারা নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের পাশাপাশি পাকিস্তানেরও একাধিক গ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত। ওই সব দেশের সঙ্গে চলত পাচারের কারবার। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্র করে তারা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ রাখত। ওই দুষ্কৃতী চক্রের সঙ্গে এ রাজ্যের আর কেউ যুক্ত কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ভরতই মৃত দুই দুষ্কৃতীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। সে ওই দুষ্কৃতীদের ভুয়ো পরিচয়পত্রের সাহায্য়ে মোহালি থেকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। ভরতের পরিচয়পত্রটি প্রকৃতপক্ষে পঞ্জাব পুলিশের কনস্টেবল অমরজিতের ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অমরজিতকে নিজের বন্ধু বলে দাবি করে ভরত। ফলে সে-ও কিভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।