ছবি: সংগৃহীত।
করোনা পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে এ বার বিধানসভার বর্ধিত বাজেট অধিবেশন হতে চলেছে দু’দিনের। শোকপ্রস্তাব নিয়ে প্রথম দিন সভা মুলতুবির পরে পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন হবে কার্যত এক দিনের। এ ভাবে নামমাত্র বিধানসভা বসানোর বদলে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে অধিবেশন এবং প্রশ্নোত্তর-পর্ব রাখার দাবিতে সরব হল বিরোধীরা।
বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী শুক্রবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছেন, করোনা-কালে এবং লকডাউন পর্বে জনজীবনে যে সমস্যা নেমে এসেছে, তা নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার সুযোগ দেওয়া হোক। তার জন্য অধিবেশনের সময় প্রয়োজনমতো বাড়ানো হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনা, পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা, অর্থনীতির সঙ্কট এবং এখানে রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতা’— এই সব প্রসঙ্গেই আলোচনা চেয়েছেন তাঁরা। তার জন্য প্রশ্নোত্তর-পর্বের সুযোগ বিধায়কদের দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তাঁরা। অধিবেশনের আগে ৮ সেপ্টেম্বর সর্বদল এবং কার্য উপদেষ্টা(বি এ) কমিটির বৈঠকেও ওই দাবি তুলতে চান তাঁরা।
স্পিকার বিমানবাবু অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন, করোনা-বিধি এবং সময়াভাবে প্রশ্নোত্তর-পর্ব এ বার রাখা সম্ভব না-ও হতে পারে। তবে বি এ কমিটির বৈঠকের আগে এই নিয়ে বিশদে মন্তব্য করতে চাননি তিনি। চিঠিতে লেখার পাশাপাশিই মান্নান ও সুজনবাবুর পাল্টা বক্তব্য, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই অধিবেশন তিন সপ্তাহও চালানো যেতে পারে। সংসদে প্রশ্ন-পর্ব বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে তৃণমূল-সহ সব বিরোধী এক সুরেই তো সরব হয়েছে। মান্নান বলেন, ‘‘অধিবেশন দু’দিনেই সেরে ফেলতে হবে, তার কী মানে আছে? সংসদে প্রশ্নোত্তর বাদ দেওয়া যেমন অন্যায়, এই বিধানসভায় নানা কারণে সেটা হলেও একই রকম অন্যায়।’’ বিজেপি-র পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গাও সংসদ ও বিধানসভার উদাহরণ দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘দ্বিচারিতা’র অভিযোগে সরব হয়েছেন।