উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শনিবার বিকেলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
‘সিভিয়ার নিউমোনিয়া’, ‘সেপসিস শক’ নিয়ে পাঁচ মাসের এক শিশুর মৃত্যু হল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার বিকেলে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রুদোরানি দাস। বাড়ি জলপাইগুড়ির নিউটাউনপাড়ায়। ‘পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট’-এ ভর্তি ছিল শিশুটি। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। জ্বর, শ্বাসকষ্ট এবং সিভিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ (এআরআই) নিয়ে একাধিক শিশুই ভর্তি উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আরও এক শিশুর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাকেও শুক্রবার থেকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘এই শিশুটি এআরআই আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে কি না, না অন্য রোগ ছিল, সে রিপোর্ট এখনও আমার কাছে আসেনি। খোঁজ নিচ্ছি।’’
এ দিন নতুন করে ‘এআরআই’ নিয়ে কোনও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়নি বলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সূত্রে খবর। সব মিলিয়ে সাত জন শিশু ভর্তি রয়েছে। তবে ফের শিশু-মৃত্যুর ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে এখনও পর্যন্ত একটি শিশুর ‘এআরআই’ সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্য দিকে, জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি শিশুদের অনেককেই জটিল পরিস্থিতির জেরে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ইতিমধ্যে ‘রেফার’ করতে হয়েছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘এআরআই’ আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। বহির্বিভাগে ভিড় হচ্ছে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের শিশু বিভাগে এ দিন অন্তত ১০০ শিশু ভর্তি রয়েছে। সম্প্রতি তাদের জন্য শয্যা বাড়ানো হলেও, পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি বলে অভিযোগ। রোগী বেশি থাকায় একই শয্যায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে শিশু ও মায়েদের। রাতে মশারিও মিলেছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন শিশুদের বাড়ির লোকজন। এই হাসপাতাল সূত্রের খবর, এ দিন নতুন করে ১১টি শিশু ভর্তি হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার কল্যাণ খান বলেন, ‘‘এআরআই আক্রান্ত মোট ২৯টি শিশু ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে আটটি শিশুর অক্সিজেন চলছে। প্রয়োজন মতো সমস্ত ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে।’’