—ফাইল চিত্র।
কাজের জন্য কাঁটাতারের ও-পারে জ়িরো পয়েন্টে যাতায়াতের সূত্রে ভারতীয় নাগরিকেরা বাংলাদেশি চোরাকারবারিদের প্রলোভনে পা দিচ্ছেন বলে অনেক দিন সন্দেহ করছিল বিএসএফের একাংশ। তাদের অনুমান, চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হওয়ায় ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকে সোনা পাচারের ‘ক্যারিয়ার’-এ পরিণত হয়েছেন। এই সন্দেহের সূত্রেই মুর্শিদাবাদের রানিনগরে সোনা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক ভারতীয় নাগরিক। ধৃতের নাম সেন্টু মণ্ডল। বিএসএফ সূত্রে খবর, তাঁর কাছ থেকে ১ কেজি ২০০ গ্রাম সোনা মিলেছে। তার বাজারদর অন্তত ৮৬ লক্ষ টাকা। কোমরের বেল্টে সোনা লুকিয়ে পাচার করছিলেন বলে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ। বাজেয়াপ্ত সোনা ও অভিযুক্তকে বহরমপুরে শুল্প দফতররে হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিনগর থানার অন্তর্গত রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা সেন্টু চাষের কাজে সীমান্তের ও-পারে গিয়েছিলেন ১ নম্বর এন্ট্রি পয়েন্ট হয়ে। ফেরার সময় তাঁকে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত জওয়ানদের। তল্লাশি চালানোর জন্য জওয়ানেরা সেন্টুর কাছে যেতেই তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তৎক্ষণাৎ তাঁকে ফেলেন জওয়ানেরা। তল্লাশি চালিয়ে তাঁর কোমর থেকে প্লাস্টিকের টেপে মোড়ানো একটি প্যাকেট উদ্ধার হয়। পরে সেই প্যাকেট থেকেই সোনা পাওয়া যায়। ধৃত অতীতে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের কাজেও যুক্ত ছিলেন বলে দাবি বিএসএফ সূত্রের।
বিএসএফ সূত্রে খবর, ধৃত জেরায় দাবি করেছেন, বাংলাদেশের এক চোরাকারবারি তাঁকে ওই প্যাকেট দিয়েছিলেন। ভারতের এক ব্যক্তির কাছে তা পৌঁছে দিতে বলা হয়েছিল তাঁকে। এর জন্য দু’হাজার টাকা পেতেন সেন্টু। এই কারবারে আর কারা জড়িত, তা-ই জানার চেষ্টা চলছে বলে খবর বিএসএফ সূত্রে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি একে আর্য বলেন, ‘‘বিএসএফ ভাল কাজ করছে। চোরাচালান রুখতে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিএসএফ অঙ্গীকারবদ্ধ।’’