গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
অর্ধেকেরও কম দামে দেওয়া হবে সৌদি রিয়াল (সৌদি আরবের মুদ্রা)। প্রতারকের এই টোপে পা দিয়ে ঠকলেন মুর্শিদাবাদের এক মহিলা। তিন লাখ টাকা দিয়ে বিদেশি মুদ্রা কিনতে গিয়ে তাঁর কপালে জুটল গায়ে মাখার সাবান! প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বহরমপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তার তদন্ত নেমে নদিয়ার এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম রাহুল বিশ্বাস (৩৪)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার দত্তফুলিয়া এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জালিয়াতি চক্র চালানোর জন্য ওই যুবক গত কয়েক মাস ধরে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ শহরের হাই স্কুল পাড়াতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। রাহুলকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জালিয়াতির এই চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছেন, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে তা-ও।
তদন্তকারী আধিকারিকদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুল সম্প্রতি ডোমকল এলাকার এক টোটোচালককে একটি সৌদি রিয়াল বিক্রি করার প্রস্তাব দেন। টোটোচালকের মাধ্যমেই সে কথা জেনেছিলেন ওই মহিলা। এর পরেই তিনি রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বিদেশি মুদ্রাটি আসল কি না, সে ব্যাপারেও খোঁজখবর নেন। মহিলা একপ্রকার নিশ্চিত হওয়ার পরেই তিন লাখ টাকায় বিদেশি মুদ্রা কেনার রফা হয়। এর পর রাহুল বহরমপুরের লালদিঘি এলাকায় যান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই লেনদেন হয়। সৌদি রিয়ালের বিনিময়ে মহিলার কাছ থেকে কাগজে মোড়ানো তিন লাখ টাকা নিয়ে সেখান থেকে চলে যান রাহুল। এর পর বাড়ি ফিরে প্যাকেট থেকে বিদেশি মুদ্রাগুলি বার করতেই মহিলার চক্ষু চড়কগাছ! দেখেন, সৌদি রিয়ালের বদলে প্যাকেটে রয়েছে গায়ে মাখার সাবান। এর পরেই বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাহুলের জিয়াগঞ্জের ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দু’টি মোবাইল ফোন, দু’টি সিম কার্ড, কিছু আমেরিকান ডলার ও ১০ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃতের সঙ্গে অন্য কোনও প্রতারকের যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।