Khejuri

Khejuri Blast: খেজুরি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে ভিন্‌ রাজ্যে ধৃত এক

গত ৩ জানুয়ারি পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খেজুরি শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২২ ০৪:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

খেজুরি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে রবিবার দুপুরে এক জনকে গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। এনআইএ-র একটি সূত্রের দাবি, ধৃতের নাম রতন প্রামাণিক। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি-২ ব্লকের পশ্চিম ভাঙনমারিতে। ধৃত এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। ঘটনার পর থেকে সে
পলাতক ছিল। যদিও বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রামে কঙ্কন করণ নামে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। তাতে অনুপ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী প্রাণ হারান। বেশ কয়েক জন জখম হন। বোমা বাঁধতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিযোগ আনেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে লিখিত আবেদন জানান। তদন্ত ভার নেয় এনআইএ।

কয়েক দিন আগেই স্থানীয় জনকা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সমরশঙ্কর মণ্ডল-সহ তিন জনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করে এনআইএ। সমরশঙ্কর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতিও বটে।
এনআইএ-র একটি সূত্রের দাবি, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রতনের সম্পর্কে জানা যায়। বিস্ফোরণের দিন রতন ঘটনাস্থলে বসে বোমা তৈরি করছিল বলে অভিযোগ। বিস্ফোরণের পরে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। যদিও তার পরে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রেখেছিল। মোবাইল
ফোনের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই তার খোঁজ মেলে। সোমবার তাকে কলকাতায় আদালতে তোলা হতে পারে।

Advertisement

খেজুরি বিধানসভায় তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর পার্থপ্রতিম দাস অবশ্য ধৃতকে নিজেদের দলের কেউ বলে মানতে রাজি নন। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতিরও দাবি, ‘‘ধৃত দলের কোনও পদাধিকারী কিংবা পরিচিত মুখ নন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু
অধিকারীর কথামতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এই মামলাটিকে সাজাচ্ছে। তাই বেছে বেছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।’’ বিজেপির কাঁথি
সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতের পাল্টা দাবি, ‘‘রাজ্য পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই বিস্ফোরণের বড় মাথা যাতে ধরা পড়ে তার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ঠিকমতো সহযোগিতা করা উচিত রাজ্যের শাসক দলের।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement