—প্রতীকী ছবি।
অভ্যন্তরীণ ‘বিরোধ’ পাশ কাটিয়েই নতুন করে ‘পুরনো ব্যবস্থা’য় ফিরছে তৃণমূল কংগ্রেস। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নিস্পৃহতা’র মধ্যে সেই ব্যবস্থায় সাংগঠনিক কাজকর্ম চালু রাখছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। বড় কোনও পদক্ষেপ না করলেও নীরবেই নতুন বছরের প্রথম মাসে দলের গুচ্ছ কর্মসূচির দিকে এগোচ্ছেন তাঁরা।
পঁচিশ পেরিয়ে ছাব্বিশে পা দিচ্ছে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল। তবে আগামী পয়লা জানুয়ারি প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে দলের অন্দরে ‘প্রবীণ ও নবীন’ চর্চা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, এই টানাপড়েনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেকের ভূমিকা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় তা বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। সেই সূত্রে অভিষেক যেমন সরে রয়েছেন, তেমনই এ বারের প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ বেড়েছে প্রবীণদের। তাঁদের কেউ কেউ মনে করছেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বার প্রতিষ্ঠা দিবস পালনেও বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর তরফে প্রতি বছর জানুয়ারি মাস জুড়ে কর্মসূচির যে তালিকা জেলায় পাঠানো হয়, এ বার তাতে এই ‘জোর’ যোগ হয়েছে।
প্রতিষ্ঠা দিবস, স্বামী বিবেকানন্দ ও সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন, সাধারণতন্ত্র দিবস ও ৩০ জানুয়ারি মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে ‘শহিদ দিবস’ পালনের কর্মসূচি নিয়ে জেলা সভাপতি ও সংগঠকদের কাছে আলাদা ভাবে বার্তাও দেওয়া চলছে বক্সীর দফতর থেকে। অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির নিরিখে এই তৎপরতা শুধু নজরকাড়াই নয়, তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
রাজ্য দলের এক নেতার কথায়, ‘‘প্রতিষ্ঠা দিবস শুধু উদ্যাপনের বিষয় নয়, তার সঙ্গে রাজনীতি অবশ্যই থাকে। লোকসভা ভোটের আগে সংগঠনের পরিচালনার দিক থেকে তা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ।’’ শুধু তা-ই নয়, সংগঠন পরিচালনা নিয়ে কিছু দিন ‘হতোদ্যম’ দেখালেও নতুন করে দলের শৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয়ের রাশ হাতে নিচ্ছেন বক্সী।
প্রবীণদের এই তৎপরতার অন্য দিকে প্রতিষ্ঠা দিবসের আগে ‘নিস্পৃহ’ রয়েছে অভিষেক শিবিরও। ওই দিনের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও আলাদা কর্মসূচি নেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। অভিষেক শিবিরের একটি সূত্রের বক্তব্য, অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হয়নি। এখনও সাংগঠনিক কোনও বিষয়েই অভিষেক বা তাঁর দফতর সে ভাবে সক্রিয় নয়। এক নেতার কথায়, ‘‘আগের অবস্থান মতো সাংসদ হিসেবে ওই দিন বা
পর দিন নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে কর্মসূচির সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।’’