লক্ষ্মণ-বার্তায় ‘না’, দাবি উঠল কংগ্রেসে

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের অনুপস্থিতিতে বিধান ভবনে দলের ১৩৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উত্তোলন করেছেন প্রদেশের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৫২
Share:

লক্ষ্মণ শেঠ।

বাম জমানায় যাদের জন্য সিপিএমের ‘দুর্নাম’ হয়েছে, তেমন কাউকে দলে জায়গা দেওয়া যাবে না বলে আওয়াজ উঠল প্রদেশ কংগ্রেসে। দলীয় সূত্রের ইঙ্গিত, লক্ষ্ণণ শেঠের মতো নেতারা যাতে কংগ্রেসে ঠাঁই না পান, তার জন্যই এমন আগাম বার্তা। প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে বরং দলত্যাগীদের উদ্দেশে ফের আহ্বান জানানো হল ফিরে আসার।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের অনুপস্থিতিতে বিধান ভবনে দলের ১৩৪ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে পতাকা উত্তোলন করেছেন প্রদেশের অন্যতম কার্যকরী সভাপতি আবু হাসেম (ডালু) খান চৌধুরী। কারণ, শুক্রবার সকালে ওই অনুষ্ঠানের সময়েও নার্সিং হোম থেকে ছাড়া পাননি সোমেনবাবু। ডালুবাবু এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চেই কংগ্রেসের ‘গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা’র ঐতিহ্য রক্ষার ডাক দিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন শুভঙ্কর সরকার, বাদল ভট্টাচার্য, দেবব্রত বসু-সহ প্রদেশ নেতৃত্ব। সোমেনবাবুও পরে সামাজিক মাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন, কংগ্রেসের ১৩৩ বছরের পরম্পরা মনে রেখে কর্মীদের লড়াই চালাতে হবে।

তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেই এখন খুনোখুনি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে এ দিনের অনুষ্ঠানে মান্নান বলেন, ‘‘সিপিএমের হার্মাদেরা তৃণমূলে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। এই পরিবর্তন আমরা চাইনি। তৃণমূল ছেড়ে অনেকে কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। আবার সিপিএমের দুর্নাম হয়েছে যাদের জন্য, যাদের হাতে রক্ত লেগে আছে, এমন কেউ কেউও আসতে চাইছেন। কিন্তু তাঁদের জায়গা কংগ্রেস নয়!’’ ডালুবাবুও বলেন, ‘‘কংগ্রেস শান্তি ও ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে।’’ কংগ্রেস সূত্রের ব্যাখ্যা, নাম না করেই মান্নানেরা ইঙ্গিত করেছেন লক্ষ্ণণবাবুর মতো প্রাক্তন সিপিএম নেতাদের প্রতি।

Advertisement

সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পরে আলাদা দল করেছিলেন তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্ণণবাবু। তার পরে কিছু দিন বিজেপিতে গেলেও সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাজকুলে সভা করতে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন, তৃণমূলের দরজা লক্ষ্ণণবাবুদের জন্য খুলবে না। রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য প্রাক্তন সাংসদ কংগ্রেসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। যদিও তাঁকে দলে নিতে তীব্র আপত্তি আছে প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি দিল্লির হাতে ছেড়ে রেখেছেন। লক্ষ্মণবাবুর পথে কাঁটা বেছাতেই প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চে সরব হয়েছেন মান্নানেরা। চেষ্টা করেও লক্ষ্মণবাবুর সঙ্গে অবশ্য যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement