এনএসজির ঘাঁটি উদ্বোধনে অমিত শাহ। রবিবার। ছবি পিটিআই।
অস্থায়ী ঘাঁটি গড়া হয়েছিল বাদুতে। সেখান থেকে নিউ টাউনে স্থায়ী ঘাঁটি পেল ন্যাশনাল সিকিয়োরিটি গার্ড (এনএসজি)। রবিবার ওই স্থায়ী ঘাঁটির উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কলকাতায় বসে মুম্বই, হায়দরাবাদ, মানেসর, চেন্নাইয়ের স্থায়ী ঘাঁটিরও উদ্বোধন করেন তিনি। এনএসজি-কর্তারা জানান, পূর্ব ও উত্তর-পূর্বের জঙ্গি হানা বা অন্যান্য আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা থেকে রওনা দিতে পারবে বাহিনী।
২০০৮ সালে মুম্বই হামলার পরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এনএসজি ঘাঁটি গড়া হয়। ইউপিএ সরকারের আমলে অস্থায়ী ঘাঁটি তৈরি হয় মধ্যমগ্রামের বাদুতে। নিউ টাউনে স্থায়ী ‘গ্রিন ক্যাম্পাস’ তৈরি হওয়ায় বাদুর জমিটি পাবে বিএসএফ। নতুন ঘাঁটিতে রাজ্য পুলিশের বাছাই করা কর্মীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এনএসজি-র কর্মীদের আবাসনও আছে সেখানে। এনএসজি-র ডিজি অনুপকুমার সিংহ বলেন, ‘‘আমরা ২৫% কর্মীকে আবাসন দিতে পারব। বাকিদের ভাড়া বাড়িতে থাকতে হবে। বড় শহরে বাড়ি ভাড়া যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ।’’ এই বিষয়ে শাহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাহিনীর প্রশংসার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ বছরের মধ্যে জওয়ানদের প্রত্যাশা পূরণের আশ্বাস দেন শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কী ভাবে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ ও ‘এয়ার স্ট্রাইক’ করে দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা নীতিকে ‘পোক্ত’ করেছেন, তাঁর বক্তব্যের অনেকাংশ জুড়ে ছিল সেই প্রসঙ্গ। জওয়ানেরা যাতে বছরে ১০০ দিন (মোট কর্মদিবসের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ) পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারেন, তা নিশ্চিত করার আশ্বাসও দেন শাহ।
শাহ ও অন্য অতিথিদের সামনে কলাকৌশল প্রদর্শন করে এনএসজি। বহুতল থেকে পায়ে দড়ি বেঁধে টিকটিকির মতো হেঁটমুণ্ড হয়ে বা দড়ি বেয়ে দেওয়াল বরাবর জওয়ানদের নেমে আসতে (অস্ট্রেলিয়ান র্যাপলিং) দেখে অনেকেই তাজ্জব হয়ে যান। জঙ্গিদের হাতে পণবন্দি হয়ে থাকা নাগরিকদের কী ভাবে উদ্ধার করা হয়, কী ভাবে সন্ত্রাসবাদীদের নিকেশ করা হয়— সবই ছিল এ দিনের মহড়ায়।