পুজোর আগে বেশ কিছু নতুন বাস রাস্তায় নামাতে পারে এনবিএসটিসি। জওহরলাল নেহরু নগরায়ণ প্রকল্পে ১৪০টি নতুন বাস পাওয়ার কথা দীর্ঘদিন ধরে সংস্থার কর্তারা জানিয়ে আসছেন। আগামী মাসে সেই প্রকল্পের একটি নমুনা বাস সংস্থাকে দেখা হবে এবং পুজোর আগে ১৪০টির মধ্যে কয়েকটি বাসকে রাস্তায় বের করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে সংস্থা নিজেও নতুন ৫০টি বাস কিনছে। সেগুলিও পুজোর আগে পাওয়া যাবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। শনিবার সংস্থার ২০৭ তম বোর্ড মিটিঙের পরে সংস্থা সূত্রে এমনই জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে এ দিনের বৈঠকে সংস্থার ১০১টি পুরোনো বাস মেরামত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে নতুন বাস সহ, কয়েকটি দুরপাল্লার রুটে বাস চালানো, জলপাইগুড়ির কদতমলা লাগোয়া একটি সরকারি জায়গায় সংস্থার বাস দাঁড়ানোর জায়গা করা, চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে এই সব কিছু পুরোনো বিষয়গুলি ছাড়া এ দিন নতুন কোনও আলোচনা হয়নি বলেই সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “পুজোর আগেই আমরা নতুন বেশ কয়েকটি বাস পেয়ে যাব। সব গুলি বাস পেতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে পুরোনো বেশ কয়েকটি বাস যেগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে, সেগুলি মেরামত করা হবে।”
সংস্থার নিজের উদ্যোগে ৫০টি বাস কিনতে ১২ কোটি টাকা খরচ হবে। এ দিনের বৈঠকে নতুন বাসের নমুনা দেখতে চলতি মাসে শেষে কলকাতায় আধিকারিকদের পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে। তবে বোর্ড মিটিংগুলিতে সংস্থাকে লাভের মুখ দেখাতে কী করণীয় তা নিয়ে বিশদে আলোচনা না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কয়েকজন বোর্ড সদস্য। তাঁদের কথায়, সংস্থার লোকসানের অঙ্ক না বাড়লেও, লাভেরও দেখে মেলেনি। সংস্থার একটি হিসেব অনুযায়ীই মাসে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ কোটি টাকা।
এই বিপুল ক্ষতির পরিস্থিতি থেকে সংস্থাকে লাভজনক পরিণত করা সম্ভব না হলেও ক্ষতির পরিমাণ কমাতে রাজস্ব বাড়ানোর জন্য সুষ্ঠু নীতি তৈরি প্রয়োজন বলে বোর্ড সদস্যরাই দাবি করেছেন। সংস্থার ক্ষতি প্রসঙ্গে এ দিন চেয়ারম্যান বলেন, “ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে দেওয়া হয়নি। আগের সরকারের থেকে এনবিএসটিসিকে যে অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ক্ষতি বাড়তে না দেওয়াও একটা সাফল্য। বর্তমান অর্থনীতিতে সব কিছুরই দাম বেনেছে, কিন্তু সংস্থার রাজস্ব বাড়িয়ে ক্ষতিবৃদ্ধি আটকানো সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতে লাভের দিকেও নজর রাখা হবে।”