নির্দিষ্ট সময়ে ভোট হলে সামনে মহকুমা পরিষদ ও পুরসভার নির্বাচন। সে কথা মাথায় রেখেই আগামী ২১ জুন শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিঙে দলের পঞ্চায়েত এবং পুর এলাকার নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে কর্মিসভায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। রবিবার তা জানান তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। একই দিনে দার্জিলিং ও শিলিগুড়িতে দুটি সভা করার কথা মুকুলবাবুর। ২০ জুন শিলিগুড়িতে আসার কথা তাঁর। এ দিন শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হল ঘরে দার্জিলিং জেলার পুর ও পঞ্চায়েত এলাকার কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। মহানন্দার চর দখল নিয়ে দলীয় কোন্দল এবং সংঘর্ষের ঘটনা খতিয়ে দেখতে এ দিন পোড়াঝাড় এলাকায় যান তিনি। বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান, শিলিগুড়ি পুর নির্বাচন এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোট ঘিরে দলের ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ির পুরসভার ভবিষ্যত্ নিয়ে সরকার কী ভাবছে? কবে পুর নির্বাচন হবে? এর উত্তরে, ‘বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীই দেখছেন’ বলে জানান তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “কবে, কী ভাবে শিলিগুড়ি পুর নির্বাচন হবে তা মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবেন। আমরা নির্দেশ মতো কাজ করব।” এ দিন সকালে পোড়াঝাড়ে গেলে মন্ত্রীর কাছে দু’ পক্ষই তাঁদের অভিযোগ জানান। মন্ত্রী বলেন, “২০১১ সালের পর থেকে যে সমস্ত জমি দখল করা হয়েছে, তা চিহ্নিত করে দখলমুক্ত করা হবে। এই উদ্দেশ্যে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি জেলার জেলাশাসককে নিয়ে বৈঠক হবে।” বামফ্রন্টের তরফে শনিবারই ঘোষণা করা হয়, তৃণমূলের সন্ত্রাস এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসবে বামেরা। গৌতমবাবু বলেন, “কোন মিথ্যা মামলায় তাঁদের জড়ানো হয়েছে তা বামেরা জানালে প্রশাসনিক তদন্ত করাব। যদি তা না পারেন, তাহলে মিথ্যাভাষণ তাঁরা যেন বন্ধ করেন।”