সাদা পোশাকের তিন মহিলা কনস্টেবলকে চিনতে পারেনি দুই ইভটিজার। রবিবার বিকেলে মালদহের ইংরেজবাজার থানার রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে ওই তিন মহিলা বাজার করে ফেরার পথে তাঁদের পিছু নেয় মোটরবাইক আরোহী ওই দুই যুবক। একটি হোটেলের কাছে ওই দুই যুবক মোটরবাইক থেকেই নানা ধরনের কটূক্তি করতে থাকেন বলেও অভিযোগ। র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের ওই মহিলা কনস্টেবলেরা তখন রুখে দাঁড়ান। এক মহিলা র্যাফ কনস্টেবল বলেন, “ওই দুই যুবক এত বাজে বাজে কথা বলছিল যে কানে শুনতে পারছিলাম না। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, ওরা আমাদের শুধু গায়ে হাত দিতে বাকি রেখেছিল।” তিন মহিলা তাঁদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় ওই দুই যুবক তখন মোটর সাইকেলের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পালাতে পারেনি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুই মহিলাকে দেখলাম একটি মোটর সাইকেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই যুবককে ধরে ফেললেন। মোটর সাইকেলটি রাস্তায় পড়ে যায়। ওই দুই যুবককে ধরে টানতে টানতে তিন জন মহিলা থানার দিকে নিয়ে যান। ইংরেজবাজার থানার আইসি দিলীপ কর্মকার বলেন, “ইভটিজিং রুখতে এখন থেকে মহিলা র্যাফের কনস্টেবলদের সাদা পোশাকে শহরের রাস্তায় নামানো হবে। মহিলা পুলিশের হাতে এ ভাবে দু’চার জন ধরা পড়লে শহরে ইভটিজিং কমবে।”
পুলিশ জানায়, ধৃত দু’জনেই মালদহ শহরের রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দা। জেলা পুলিশ সুপার রাজেশ যাদব বলেন, “সাধারণ মহিলাদের কটূক্তি করতে যুবকরা বেপরোয়া বলে অভিযোগ রয়েছে। মহিলা পুলিশকেও রেহাই দেয়নি। মহিলা র্যাফের কনস্টেবলের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।”
সোমবার পুলিশ ধৃত দুই যুবককে আদালতে তুললে ভারপ্রাপ্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যজিস্ট্রেট অমিতাভ দাস এক হাজার টাকার জামিনে ধৃত দুই যুবকের জামিন মঞ্জুর করেছেন। মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সরকারি আইনজীবী দীপেন চৌধুরী বলেন, “র্যাফের মহিলা কনস্টেবলকে ইভটিজিং করার জন্য ধৃত দুই যুবককে জামিন দিয়েছে আদালত। সপ্তাহে দু’দিন করে ইংরেজবাজার থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।” ধৃত যুবকের আইনজীবী দেবাঞ্জন দত্ত জানিয়েছেন, সাদা পোশাকে থাকায় পুলিশকর্মীদের চিনতে পারেননি ওই দুই যুবক।