স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিন ছাত্রীর উপরে চড়াও হওয়া এবং প্রতিবাদ করায় ওই নাবালিকাদেরই জুতোপেটা করার অভিযোগ উঠল এক মদ্যপ যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার বিকেলে পুরাতন মালদহের সাহাপুরে ওই ঘটনার পরে পলাতক অভিযুক্ত রকি মণ্ডল। বছর কুড়ির রকি পেশায় সব্জিবিক্রেতা। বাড়ি ইংরেজবাজারের রায়পুরে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রকির খোঁজ চলছে। মারধরে আহত তিন ছাত্রী মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই তিন ছাত্রীর বাড়ি পুরাতন মালদহের সাহাপুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামে। ইংরেজবাজারের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ষষ্ঠ, নবম এবং দশম শ্রেণিতে পড়ে তারা। প্রতিদিনই এক সঙ্গে স্কুলে যাতায়াত করে। এ দিন স্কুলছুটির পরে বিকেল ৫টা নাগাদ বাড়ি ফেরার সময়ে সাহাপুর গ্রামের কাছে একটি আমবাগানের মধ্যে তারা আক্রান্ত হয় বলে অভিযোগ। নবম শ্রেণির ছাত্রীটির দাবি, মদ্যপ অবস্থায় তাদের ঘাড়ে এসে পড়ে রকি। মেয়েটির অভিযোগ, “ফাঁকা রাস্তায় কেন ঘাড়ে এসে পড়ল জানতে চাওয়ায় ছেলেটা আমাদের প্রথমে এক চোট গালিগালাজ করে। পরে পা থেকে জুতো খুলে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে।”
দশম শ্রেণির ছাত্রীটি জানায়, আচমকা হামলায় তারা তিন জনই ঘাবড়ে যায়। পরে পালানোর চেষ্টা করে। তার কথায়, “পিছু ধাওয়া করে এসে ছেলেটা আমাদের তিন জনকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে ফের কিল-চড় মারতে থাকে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন ছাত্রীর চিৎকার শুনে সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দারা ছুটে যান। ততক্ষণে রকি পালিয়েছে। এলাকাবাসীই মেয়ে তিনটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাতে হাসপাতালে গিয়ে তিন ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা আদৌ অভিপ্রেত নয়। পুলিশকে বলেছি, দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে।” হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিনটি মেয়ের হাতে-পায়ে-পিঠে চোট রয়েছে। তিন ছাত্রীর পরিবারের বক্তব্য, পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করুক। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীটির আতঙ্ক, “আগে কখনও এমন হয়নি। ওই লোকটা আবার তেড়ে আসবে না তো!”